কবিতার শান্তিযাত্রা। ‘কবিতায় হাসি, কবিতায় কাঁদি, কবিতায় জেগে রই।’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা কবিতা উৎসব।
কুসুমের ফেরা সাহিত্য পত্রিকা ও ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এই বর্ণময় কবিতা উৎসবে শুধু বাংলা ভাষা নয় ইংরেজি পাঞ্জাবি গুজরাটি হিন্দি উর্দু ককবরক ভাষার কবিতা ও কবিদের উপস্থিতি এক নতুন মাত্রা বহন করে। ছিল নানা কবিতার কোলাজ বিভিন্ন আবৃত্তি শিল্পীদের কণ্ঠে।
Advertisement
কলকাতা কবিতা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির সভাপতি বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কাজল দে। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডক্টর সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন কবি কমল দে সিকদার।
Advertisement
উৎসব সম্পাদক, কবি ও সাংবাদিক সাকিল আহমেদের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় রক্তকরবী গ্রুপের বৃন্দগান দিয়ে। হল ভর্তি কবি সাহিত্যিকদের ভিড়ে প্রাণের উৎসব কলকাতা কবিতা উৎসব সমাপ্ত হয়। ৫০০ কবির ম্যারাথন এই কবিতার শান্তিযাত্রা শেষ হবে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। কবিদের স্বরচিত কবিতা দিয়ে স্মারক ও ছবি সবাইকে মুগ্ধ করে।
প্রায় দেড়শ কবির উপস্থিতিতে ইতালি প্রবাসী কবি ও আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অগ্নিপথে তীর্থযাত্রা’ লেখার জন্য বিপুল বিহারী হালদারকে গণদেবতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কারের অর্থ মূল্য ছিল দশ হাজার টাকা। পুরস্কার তুলে দেন কবি সুবোধ সরকার, কবি কমল দে সিকদার প্রমুখ। পুরস্কার পাওয়ার পর বিপুল বিহারী হালদার এই পুরস্কারের অর্থমূল্য দশ হাজার টাকা সুন্দরবন শিবগঞ্জ চম্পা ধনঞ্জয় মহিলা সমিতিকে অর্পণ করেন। এই অর্থ সুন্দর বনের জঙ্গলে যে সব মৌলে মধুসংগ্রহ করতে গিয়ে কিংবা কাঠ কাটতে গিয়ে বাঘের পেটে প্রাণ দিয়েছেন সেই সব ব্যক্তির বিধবা স্ত্রীদের জীবনের চলার পথকে সহায়তা প্রদান করবে। বিপুলবাবুর এই দান সাদরে গ্রহণ করেন চম্পা ধনঞ্জয় মহিলা সমিতির কর্ণধার শিক্ষাশ্রী অমল নায়েক।
কবি সুবোধ সরকার তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে উৎসব কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এমন কবিতা প্রেম এবং পাঁচশ কবিকে নিয়ে পাঁচ শহর জুড়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উদ্যোক্তারা।
Advertisement



