• facebook
  • twitter
Monday, 10 November, 2025

ইন্দ্রধনুর পনেরো বর্ষপূর্তি

বাদ্যযন্ত্রে অনন্য সহযোগ প্রদান করেন নিশান্ত সিং (পাখোয়াজ) ও সুদীপ চক্রবর্তী (তবলা)। অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল বিশেষ আনন্দময়।

নিজস্ব চিত্র

কলকাতার বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্দ্রধনু পূর্ণ করল তাদের সুরের পথচলার পনেরোটি বছর। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় অনুষ্ঠান করে এই পর্বের সর্বশেষ অনুষ্ঠানটি করলো দমদমের অজিতেশ মঞ্চে, নভেম্বরের তেইশ তারিখে। দুপুর তিনটে থেকে শুরু হয়ে রাত দশটা অবধি চলে। তবে বলে রাখা ভালো যে, মোট তেরোজন শিল্পী সাতটি শহর (কলকাতা, দিল্লী, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর এবং গ্যাংটক) থেকে এতে অংশগ্রহণ করতে আসেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় কচি-কাঁচাদের পরিবেশনে। ইন্দ্রধনুর দুই স্থপতি গুরু পণ্ডিত জ্যোতি গোহ ও গুরুমা বন্দনা গোহের শিক্ষার্থীরা (কচি, মাঝারি, সামান্য বড়) শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে যন্ত্রসংগীত ও গান পরিবেশন করলো। তারপর নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট উদীয়মান তবলাবাদক সৌরভ গোহের ছাত্ররা পরিবেশন করে তবলায় বাজনা। এরপর শুরু হয় মূলপর্বের অনুষ্ঠান। প্রথমেই ছিল যুগলবন্দী; বাঁশিতে ইন্দ্রজিৎ বসু ও শততন্ত্রী বীণা অর্থাৎ সন্তুরে ছিলেন দিশারী চক্রবর্তী। তাদের চয়ন ছিল রাগ মধুমন্তী। প্রথমে আলাপ, তারপর ছিল তিনখানি গত— একতাল এবং দ্রুত ত্রিতালে।

বাদ্যযন্ত্রে অনন্য সহযোগ প্রদান করেন নিশান্ত সিং (পাখোয়াজ) ও সুদীপ চক্রবর্তী (তবলা)। অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল বিশেষ আনন্দময়। এরপর ছিল বেনারস ও লখনউ ঘরাণার শিল্পী পণ্ডিত আশিস সেনগুপ্তর একক তবলাবাদন। সঙ্গে হারমোনিয়ামে ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস। হায়দ্রাবাদ থেকে আগত শিল্পী রামপ্রপন্ন ভট্টাচার্য এরপর পরিবেশন করেন তাঁর সেতার বাদ। চয়নে ছিল রাগ শ্যাম-কল্যাণ। আলাপ, জোড়, ঝালা; পরে দুখানি ত্রিতাল নিবদ্ধ গত এবং শেষ করেন ঝালা পরিবেশনে । তবলায় অনন্য সহযোগ প্রদান করেন সৌরভ গোহ। এরপর ছিল মাইহার ঘরের আরেক তরুণ শিল্পী ইন্দ্রায়ুধ মজুমদারের সরোদ বাদন। রাগ হেমন্তের আলাপ পর্ব পরে গত নিবেদন। তবলায় সহযোগ প্রদান করেন তরুণ প্রজন্মের আর্চিক ব্যানার্জি। সুরে বাঁধা অনন্য এই সাঙ্গীতিক সন্ধ্যার সমাপন হয় ব্যাঙ্গালোরের শিল্পী ইমন দাসের কন্ঠ নিবেদন পর্বের সাথে। পরিবেশন করেন রাগ গোরখ কল্যাণ ও শেষে গাইলেন ভৈরবী। তবলায় ছিলেন পন্ডিত সঞ্জয় অধিকারী। হারমোনিয়ামে চন্দ্রজিৎ প্রধান।