সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু ‘নাদ’ এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ ফিউশন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর, যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসছে “নাদ”-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে আছেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ।
‘নাদ’-এর বয়স মোটে চার। কিন্তু এই চার বছরেই কলকাতার মন জয় করে নিয়েছে এই অনুষ্ঠান। এবারে ২১ থেকে ২৩ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে সন্ধ্যে ৬ টা থেকে বসছে ‘নাদ’-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে থাকছে ফিউশন। ‘নাদ’-এর প্রথম দিনে থাকছে আমন আলি বঙ্গাসের সরোদ, তবলায় অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়। থাকছে অদিতি মঙ্গলদাসের কত্থক, অজয় পহঙ্কার এবং অভিজিৎ পহঙ্কারের যুগলবন্দি ‘সাউন্ডস্কেপ’, একক হারমোনিয়ামে তন্ময় দেওচকে। এবারের উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ শেষদিনে বিক্রম ঘোষের ব্র্যান্ড নিউ “ট্রান্স ফর্মেশন”। তবলা, মৃদঙ্গম, ভায়োলিন, কিবোর্ডের মিশ্রণে এক অভিনব ফিউশন।
Advertisement
ভারতীয় বিদ্যা ভবন-এর তরফ থেকে জি ভি সুব্রহ্মনিয়ম এবং বিক্রম ঘোষ দুজনেই চান কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে অন্য মাত্রা আনতে। বলা বাহুল্য, কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে ‘নাদ’ সেই নতুন পালক। বিক্রম ঘোষের কথায়, ‘ইতিমধ্যেই “নাদ” মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রত্যেক বছরের মত এবারেও থাকছে অনেক চমক। তবে এবারে প্রবেশমূল্য আছে, আপনারা টিকিট কেটে ফেলুন, প্রতি বছরের মত এবছরও আপনারা অন্যরকম স্বাদ পাবেন।’
Advertisement
Advertisement



