• facebook
  • twitter
Monday, 11 August, 2025

কলকাতায় উপকূল গবেষণায় অত্যাধুনিক জাহাজ তৈরি করবে দুটি সংস্থা

পাঁচ থেকে এক হাজার মিটার গভীরতায় এই জাহাজগুলি গবেষণার কাজ করতে পারবে। এই জাহাজগুলিকে কোস্টাল রিসার্চ ভেসেল বা ‘সিআরভি’ বলা হয়ে থাকে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কলকাতায় উপকূল গবেষণায় দুটি অত্যাধুনিক জাহাজ বা কোস্টাল রিসার্চ ভেসেল তৈরি করবে দুটি সংস্থা। জাহাজ দুটিতে উপকূলীয় ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরি করা, খনিজ অনুসন্ধানসহ মহাসাগরের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার জন্য কাজ করবে। এই জাহাজ দুটিতে আধুনিক ও সুসজ্জিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারও থাকবে। সেখানে তথ্য বিশ্লেষণ ও নমুনা বিশ্লেষণের কাজ করা হবে। উপকূল গবেষণায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) জন্য এই আধুনিক জাহাজ তৈরি করবে কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। এই দু’টি জাহাজ তৈরির জন্য দুটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।

বুধবার জিএসআই এবং জিআরএসই’র মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। জিআরএসই’র ডিরেক্টর (শিপবিল্ডিং) কমান্ডার শান্তনু বসু এবং জিএসআইয়ের মেরিন ও কোস্টাল সার্ভে বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ও বিভাগীয় প্রধান এন এম শরিফ জাহাজ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। জিএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অসিত সাহাসহ অন্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে জিআরএসই একটি মহাসাগর গবেষণা জাহাজ বা ওভিআর তৈরি করছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চের জন্য। এছাড়া নৌসেনার নেভাল ফিজিক্যাল ও ওশানোগ্রাফিক ল্যাবরেটোরির (এনপিওএল) জন্য একটি অ্যাকুয়াস্টিক রিসার্চ জাহাজ তৈরি করছে। যদিও জিআরএসই মূলত যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে পারদর্শী। তবে গবেষণা জাহাজ নির্মাণেও এটি সমান দক্ষ। ১৯৯৪ সালে এনপিওএল-কে মেরিন অ্যাকুয়াস্টিক রিসার্চ শিপ আইএনএস সাগরধ্বনি সরবরাহ করেছিল। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জিআরএসই নৌবাহিনীর জন্য ছ’টি সার্ভে জাহাজ নির্মাণ করেছিল। নয়া সংযোজন জিএসআইয়ের জন্য দু’টি সিআরভি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ থেকে এক হাজার মিটার গভীরতায় এই জাহাজগুলি গবেষণার কাজ করতে পারবে। এই জাহাজগুলিকে কোস্টাল রিসার্চ ভেসেল বা ‘সিআরভি’ বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এই ধরনের জাহাজগুলি খুবই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হয়ে থাকে। এই জাহাজের এক একটির দৈর্ঘ্য ৬৪ এবং প্রস্থ ১২ মিটার হয়ে থাকে। প্রতিটি জাহাজে এক সঙ্গে ৩৫ জন থাকতে পারবেন। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি১০ নট এবং ডেডওয়েট হবে আনুমানিক ৪৫০ টন।