• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নতুন আয়কর বিলের প্রাসঙ্গিক নিয়ম

করদাতারা যদি দেখতে চান যে, কোন নতুন বিধানে তাঁদের নিয়মিত ছাড় রয়েছে এবং কোন বিধানের অধীনে তাঁরা তাঁদের আপিল দায়ের করতে পারেন, তাহলে তাঁরা বর্তমান আইনের (আয়কর আইন, ১৯৬১) প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলি দেখে নিতে পারেন।

প্রতীকী চিত্র

সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করার পর এটি এখন আরও পর্যালোচনার জন্য লোকসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে। এদিকে, লোকসভার কার্যধারা ১০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আয়কর বিভাগ বেতনভোগী করদাতাদের জন্য নিয়ম এবং তথ্য সম্পর্কে নানা প্রশ্ন সংক্রান্ত (এফএ কিউ) প্রকাশ করেছে।

Advertisement

উপরন্তু, করদাতারা যদি দেখতে চান যে, কোন নতুন বিধানে তাঁদের নিয়মিত ছাড় রয়েছে এবং কোন বিধানের অধীনে তাঁরা তাঁদের আপিল দায়ের করতে পারেন, তাহলে তাঁরা বর্তমান আইনের (আয়কর আইন, ১৯৬১) প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলি দেখে নিতে পারেন। এছাড়া নতুন বিলের নিয়মে কোনও পরিবর্ত হলে সেটাও তাঁরা বিভাগ-ভিত্তিক ম্যাপিং ইউটিলিটি ব্যবহার করে জানতে পারবেন।

Advertisement

প্রথমত, আয়কর বিভাগের পোর্টালে নির্দিষ্ট লিঙ্কটি দেখতে হবে। ধরুন আপনি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পাওয়া কোনও বিশেষ ভাতার বিষয়ে জানতে চান, তা ধারা ১০ (১৩এ)-এর অধীনে দেওয়া হয়। আপনি যখন বাম দিকের ওই বিশেষ সেকশনে ক্লিক করবেন, সংশ্লিষ্ট বিধানটি প্রদর্শিত হবে।

একইভাবে আপনি যদি ‘ধারা ৪৩’ পরীক্ষা করতে চান যা ব্যবসা বা পেশার লাভ এবং লাভ থেকে আয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক- না অন্য কোনও বিষয়ে কিছু জানতে চান, ক্লিক করলেই তা সংশ্লিষ্ট ধারাটি প্রকাশ করবে। এটি নতুন আয়কর বিলের ৩৯,৪১ এবং ৬৬ ধারায় দেওয়া হয়েছে।
করদাতারা একই পৃষ্ঠায় দেওয়া নতুন বিলের খসড়াও দেখতে পারেন যেখানে আপনি প্রাসঙ্গিক নিয়মটি খুঁজে পেতে নীচে স্ক্রোল করতে পারেন।

এই ইউটিলিটি পরিষেবা, আরও দেখায় যে, আপনি যে-ছাড় খুঁজছেন তা বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন ৮০ সিসিসি ধারার অধীনে প্রদত্ত নির্দিষ্ট পেনশন তহবিলের ক্ষেত্রে ছাড়ের সন্ধান করতে চান, তখন ডান দিকের প্যানেলটি দেখাবে যে এটি ‘বাদ দেওয়া হয়েছে’। একইভাবে, ৮০ সিসিই বাদ দেওয়া হয়েছে যা ৮০সি, ৮০সিসিসি এবং ৮০সিসিডি ধারার অধীনে ছাড়ের সীমা নির্দেশ করে।

আয়কর বিল ২০২৫, ২২ শতাংশ করের বিকল্প বেছে নেওয়া সংস্থাগুলির জন্য আন্তঃকর্পোরেট লভ্যাংশের ছাড় বাদ দিয়েছে। এটি বর্তমান আইনের অধীনে অনুমোদিত, বাণিজ্যিক নিয়মাবলিও স্পষ্ট করেছে। নতুন আইনের অধীনে, কোনও সংস্থা দেশীয় বা বিদেশি, বা ব্যবসায়িক ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের জন্য ছাড় দাবি করতে পারে। যখন এই লভ্যাংশগুলি তার শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, বহুস্তরীয় কাঠামোতে তা ক্যাসকেডিং কর রোধ করে। এটি অর্থ আইন ২০২০ দ্বারা প্রবর্তিত ধারা ৮০ এম-এর অধীনে অন্তর্গত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর এড়ানো।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কোম্পানি এক্স-এর কোম্পানি ওয়াই-তে শেয়ার থাকে, তবে কোম্পানি এক্স-কে প্রদত্ত যে-কোনও লভ্যাংশকে, আন্তঃকর্পোরেট লভ্যাংশ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই লভ্যাংশ কর থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং ছাড় হিসাবে অনুমোদিত।
ভারতের কেপিএমজি-র অংশীদার, হিমাংশু পারেখ বলেন, ‘এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে, কারণ একাধিক দেশীয় সংস্থায় লভ্যাংশের করের উপর একটি ক্যাসকেডিং প্রভাব পড়বে যা ২২ শতাংশ করের হার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়েছে।’

যদি কোম্পানি এক্স ১০০ টাকা লভ্যাংশ আয় করে, তবে সাধারণত সেই পরিমাণের উপর ২২ শতাংশ বা ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। কিন্তু যদি কোম্পানিটি তার শেয়ারহোল্ডারদের পুরো ১০০ টাকাই লভ্যাংশ হিসাবে বিতরণ করে- তাহলে এটি ছাড়ের অধীনে আসতে পারে, যার ফলে কোম্পানির কোনও করযোগ্য লভ্যাংশ আয় হয় না। ফলস্বরূপ, লভ্যাংশে শুধুমাত্র শেয়ারহোল্ডারের উপর কর আরোপ করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোম্পানি এ, ২২ শতাংশ ছাড়ের কর্পোরেট করের হার বেছে নেয়, তবে এটি ১০০ টাকা লভ্যাংশের উপর কর প্রদান করবে, কারণ তখন ছাড় পাওয়া যাবে না। এছাড়াও শেয়ারহোল্ডারদেরও একই ভাবে ১০০ টাকার উপর কর আরোপ করা হবে, যার অর্থ দ্বিগুন কর আরোপ করা। লভ্যাংশ ছাড়ের সুবিধা অবশ্য ছাড়ের ১৫ শতাংশ করের হার সাপেক্ষে সংস্থাগুলির জন্য বরাদ্দ রয়েছে।

Advertisement