• facebook
  • twitter
Tuesday, 30 December, 2025

গান্ধীনগরের গিফট সিটিতে গড়ে উঠছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা সংস্থা

দেশীয় ডেটা, স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং নৈতিক ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে গবেষণা চালানো হলে তা আন্তর্জাতিক স্তরেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা ও উদ্ভাবনকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে গুজরাতের গান্ধীনগরের গিফট সিটিতে একটি জাতীয় স্তরের ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি গবেষণা, নীতি নির্ধারণ এবং শিল্পক্ষেত্রের প্রয়োগ— তিন ক্ষেত্রেই ভারতের সক্ষমতা আরও মজবুত হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই গবেষণা সংস্থা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং বাস্তব প্রয়োগের উপর বিশেষ জোর দেবে। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, আর্থিক পরিষেবা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করবে এই কেন্দ্র। একই সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণ গবেষক ও স্টার্টআপদের সহায়তা করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

Advertisement

গিফট সিটিকে বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে তার আধুনিক পরিকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক ও প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত বিকাশ। গান্ধীনগরের এই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক আর্থিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সংস্থা গড়ে উঠেছে। ফলে নতুন এই গবেষণা সংস্থা শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংস্থা গড়ে উঠলে ভারতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় বৈশ্বিক মানচিত্রে অবস্থান আরও দৃঢ় হবে। দেশীয় ডেটা, স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং নৈতিক ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে গবেষণা চালানো হলে তা আন্তর্জাতিক স্তরেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রেও এই কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের একাংশের মতে, এই উদ্যোগ ‘ডিজিটাল ভারত’ এবং প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গবেষণা সংস্থাটি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হলে ভবিষ্যতে নীতিনির্ধারণ, শিল্প বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে।

সব মিলিয়ে, গান্ধীনগরের গিফট সিটিতে ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে দেশের প্রযুক্তি ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement