• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘হসপিটালিটি’ শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলে কৃষকদের আয় বাড়বে, দাবি

এতে যেমন কৃষকদের উপার্জন বাড়বে, তেমনই প্রায় রাসায়নিকমুক্ত কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়বে, বড় বড় হোটেল ও পর্যটন শিল্প হবে উন্নত মানের।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কৃষক-উৎপাদক সংগঠন এবং ‘হসপিটালিটি’ শিল্পের মধ্যে সরাসরি ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিলেন কৃষি ও কৃষককল্যাণ দপ্তরের সচিব দেবেশ চতুর্বেদী। সোমবার অনুষ্ঠিত কৃষক-উৎপাদক সংগঠন ও আতিথ্য শিল্পের যৌথ সম্মেলনে তিনি বলেন, এমন সম্পর্ক গড়ে উঠলে ‘দুই পক্ষই লাভবান হবে’। কারণ এতে যেমন কৃষকদের উপার্জন বাড়বে, তেমনই প্রায় রাসায়নিকমুক্ত কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়বে, বড় বড় হোটেল ও পর্যটন শিল্প হবে উন্নত মানের।

চতুর্বেদী জানান, দেশে এখন প্রায় ৪০ হাজারের মতো কৃষক-উৎপাদক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এই সংগঠনগুলির উৎপাদিত বহু পণ্যই ‘হসপিটালিটি’ শিল্পের পরিষ্কার, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অথচ এখনও কৃষকরাই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। তাঁরা খুচরো দামে চাষের উপকরণ কিনে, পাইকারি দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হন। এই বৈষম্য মেটাতে হলে হোটেল শিল্পের সঙ্গে সরাসরি কেনাবেচার ব্যবস্থা তৈরি জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Advertisement

দেবেশ চতুর্বেদী আরও বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে গেলে কৃষিপণ্যের সরবরাহ আরও সুরক্ষিত হবে। কৃষকের মুনাফা বাড়বে এবং ‘হসপিটালিটি’ শিল্প দেশের মোট মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে আরও বড় ভূমিকা নেবে। তিনি জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জৈব চাষ, ভৌগোলিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত পণ্য এবং দায়িত্বশীল পর্যটনকে উৎসাহ দিচ্ছে। কেরলের কুমারাকম মডেলের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানকার দীর্ঘস্থায়ী শিল্প ও স্থানীয় সমাজের সম্পৃক্ততা নতুন দিশা দেখিয়েছে।

Advertisement

Advertisement