প্রশ্ন: হেমা মালিনী মানেই ড্রিমগার্ল। তোমার এই ছবির নামও ‘আমি যখন হেমা মালিনী’। তো, তোমার কাছে হেমা মালিনী এই শব্দটা কী ছিল? কী আছে?
চিরঞ্জিত : হেমা মালিনীর প্রথম ছবি ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’। আমি প্যারাডাইসে দেখতে গেছিলাম। কী ভালো দেখতে! আমি তখন ছোট। তখন থেকেই হেমা মালিনীকে ভালো লাগতো। অনেক অনেক ছবি দেখেছি তাঁর। একবার আলাপও হয়েছিল। বারুইপুরের একটা অনুষ্ঠানে। আমার অনুষ্ঠানের পর তাঁর স্টেজ ছিল। অনুষ্ঠানের অরগানাইজার আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। মিষ্টি হাসি। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম। সে কথা আজও মনে আছে।
প্রশ্ন: এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে থাকে। স্বপ্ন থাকে। তোমার এমন কোনও ইচ্ছে?
চিরঞ্জিত: হ্যাঁ, আমার মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করবার ইচ্ছে ছিল। খুব ভালো লাগে ওঁকে। আর মীনাকুমারী। যদিও আমি অনেক ছোট, তাও আমার মীনাকুমারীকে কী ভালো লাগে। এখনও ভালো লাগে আমার মীনাকুমারীকে।
আর ধর্মেন্দ্রকে আমার খুব হিরোইক লাগে। ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী এঁরা খুব প্রিয়। তবে এই ছবি হেমা মালিনীকে নিয়ে ছবি নয়। এটা একটা কনসেপ্ট নিয়ে ছবিটা হয়েছে।
প্রশ্ন: এই ছবিতে তোমার ভূমিকা নিয়ে কী বলবে?
চিরঞ্জিত: একজন বৃদ্ধ মাস্টারমশাই, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, আনসাকসেসফুল লোক। তার কাছে একজন মহিলা আসেন, তিনি নিজেকে হেমা মালিনী ভাবেন, ধর্মেন্দ্রকে খোঁজেন। ছবিতে আমার নাম ধর্মেন্দ্র। এই সব বিষয় নিয়ে গল্প এগোয়।
প্রশ্ন: পরিচালক এই ছবিতে সুন্দরভাবে হেমা মালিনীকে জুড়েছেন।
চিরঞ্জিত: হ্যাঁ, পারমিতার বুদ্ধি। মানুষটা ছবিতে নেই কিন্তু নামটা রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলা ছবি প্রাইম টাইম পেয়েছে। মাল্টিপ্লেক্স-এর বাড়বাড়ন্ত। সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোর প্রতি আরেকটু যত্নবান হওয়া উচিত বলে কি তোমার মনে হয়?
চিরঞ্জিত: সাড়ে সাতশো থেকে ৪০টা হাউস। এভাবে বাঁচানো যাবে না। একটা হল রিনোভেট করে সাজাতে প্রায় ধরলাম ২ কোটি খরচ। কে করবে! সেই টাকা ব্যাঙ্কে রাখলে বেশি সুবিধা। কে করবে? তবুও বেশ কিছু মানুষ আছেন, তাঁরা চালাচ্ছেন, সো নাইস অফ দেম। তবে বুম্বা যেটা ভেবেছে ১০০টা হলের বিষয়। সেটা হলে হতে পারে। তাতে বেশি খরচ লাগবে না। মুখ্যমন্ত্রীও সে বিষয়ে কথা বলছেন।
প্রশ্ন: আচ্ছা, এখন যেভাবে যে পরিসরে বাংলা সিনেমার প্রচার হয়, এটাকে তুমি কীভাবে দেখছো?
চিরঞ্জিত: খুবই ভালো। যুগ বদলাচ্ছে। যুগের মত এগোতে হবে। ধূমকেতুর প্রিমিয়ারে নজরুল মঞ্চ যেভাবে ভরল, সেটা হিউজ। তবে সেখানে দেব-শুভশ্রীর নয় বছরের বিচ্ছেদের ব্যাপারটাও ছিল। এসব ছাড়াও প্রচারের ধরন যে বদলেছে, এটা খুব ভালো ব্যাপার।
প্রশ্ন: পরিচালক হিসেবে তোমাকে পেতে পারি?
চিরঞ্জিত: আমার এত কিছুর শখ নেই। আমার অ্যাচিভ করার কিছু নেই। অনেক কিছু অ্যাচিভ করেছি। তবে যদি কিছু হয়, বা মনে হয় করব, তখন ভাবা যাবে।
প্রশ্ন: আর কিছুদিন বাদে দীপক আর চিরঞ্জিতের দেখা হওয়ার ৫০ বছর। সেটা নিয়ে কে ভাববে? দীপক না চিরঞ্জিত?
চিরঞ্জিত: দীপক ভাববে। চিরঞ্জিত ভাবে না। ও ওয়ার্কার। দীপকের ইন্সট্রাকশনে কাজ করে।
প্রশ্ন: পুজোর আগে আগে ছবি রিলিজ। কী বলবে?
চিরঞ্জিত: আমার ছবি বলে না। ভালো ছবি দেখুন। ভালো কাজ হচ্ছে। পারমিতা ভালো স্ক্রিপ্ট নিয়ে ছবি বানিয়েছে। দেখুন। তবে পাশ থেকে দেখবেন না। পাশে দাঁড়াবেন না। ছবি দেখতে পাবেন না। সামনে থেকে সিটে বসে দেখুন।
আর পুজোর আগে আগে ছবি রিলিজ। পুজো প্রায় দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। বাঙালির সেরা উৎসব। ভালো করে পুজো কাটান। ভালো ছবি দেখুন, বাংলা ছবি দেখুন। মানুষকে ভালোবাসুন, ভালোবাসায় থাকুন। ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে ফেলুন। উৎসবের দিনগুলো ভালো কাটান। ভালো থাকুন। এটুকুই।