অন্যরকম প্রেমের গল্প বলতে আসছেন পরিচালক পারমিতা মুন্সী। ছবির নাম ‘আমি যখন হেমা মালিনী’। তবে এই ছবি হেমা মালিনীর বায়োপিক নয়। এই ছবির পরিচালক, এক অন্য আঙ্গিকে গল্প বুনেছেন। এই ছবির নায়িকা নিজেকে হেমা মালিনী মনে করেন। তাই নিজের নাম ‘মালিনী’র বদলে ‘হেমা মালিনী’ রেখেছে। মাঝবয়সী এক মহিলা হেমা মালিনী সিন্ড্রোমে ভোগেন। তিনি নিজেকে হেমা মালিনী ভাবেন। তেমন সাজেন। সেজে গুজে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে যান। কিন্তু কেন!
পরিচালক পারমিতা মুন্সী জানান, হেমা মালিনী শুধু নাম নয়, একটা কনসেপ্ট। হেমা মালিনী এখানে একটা বিশেষণ। একটা সেলিব্রেশনের নাম হেমা মালিনী। যেখানে ভালোবাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তো এই হেমা মালিনী সিন্ড্রোম নিয়েই গল্প। এবং এই কারণেই ছবির নাম এমন। আমি চেয়েছিলাম নাম হোক হেমা মালিনী। কিন্তু পরে অফিশিয়ালি এই ছবির নাম হল ‘আমি যখন হেমা মালিনী’। হেমা মালিনীর কানেও এই ছবির নাম গিয়েছে শুনেছি। আনঅফিশিয়ালি আমি তা জেনেছি।
এই ছবি করতে গিয়ে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এই ছবি করার সময়ে নানারকমের বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে পরিচালককে। কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর টিমের নয়জন টেকনিশিয়ান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাধা-বিপত্তি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম মেকারদের নিত্যসঙ্গী। সব জায়গা থেকেই থাকে। ফেডারেশনের সঙ্গে একটা সংঘাত তৈরি হয়েছিল। সব কিছু নিয়েই কাজ করেছি। ছবিটা শেষ করেছি। এবার এই ছবির মুক্তির পালা। ১২ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে।’