ডা. রুদ্রজিৎ রায়ের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র পিঞ্জর এক মর্মস্পর্শী আর্তি—স্বাধীনতা, বেঁচে থাকা ও অদৃশ্য খাঁচার গল্প। বাংলার গ্রাম্য প্রান্তর ও শহুরে গলির প্রেক্ষাপটে ছবিটি অবৈধ পাখি শিকার ও মানুষের অন্তর্গত বন্দিত্বের মধ্যে এক তীব্র সাদৃশ্য রচনা করে।
ঝিমলি, পারমিতা, শেফালি, তারক ও ইকবালের জীবনের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে এক সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে অশিক্ষা, দারিদ্র্য, ধর্ম, গোঁড়ামি ও গার্হস্থ্য হিংসা মানুষের আত্মাকে বন্দি করে রাখে। জঙ্গলের পাখি, যে জোর করে ধরে এনে খাঁচায় বেঁধে ফেলা হয়, সে-ই যেন এই সমাজের এক নীরব প্রতীক—যেখানে নিষ্ঠুরতা ও আত্মসমর্পণকে আমরা প্রতিদিনই স্বাভাবিক বলে মেনে নিই।
Advertisement
দুই বছরের গবেষণা ও গ্রামীণ মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে নির্মিত পিঞ্জর অবৈধ পাখি ধরার প্রথাকে দেখেছে বাস্তবতার চোখে, আবার কবিতার সংবেদন দিয়ে। প্রতিটি দৃশ্যেই পাখিদের সুরক্ষা ও মুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে—যেন বাস্তবেই খাঁচা খুলে দেওয়া যায়।
Advertisement
রাহুল রায়ের চিত্রনাট্য ও মানস ভট্টাচার্যের ক্যামেরায় নির্মিত এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাতুল শংকর। বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমতা শংকর, মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়। আন্তর্জাতিক উৎসবে নির্বাচিত পিঞ্জর আজ এক সাহসী প্রতিবাদ—আর এক কোমল স্মরণ, সব খাঁচাই একদিন খুলে দিতে হবে।
Advertisement



