• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

কলকাতায় প্রথম সিট কম কমেডি পাঁচফোরনস্

পরানদার এই কথাটাই আমাকে ভীষণভাবে ইন্সপায়ার করে। আমি পুরো ওয়েব সিরিজটা চার দিনে শেষ করি। বাজেটের কথাও মাথায় রাখতে হয়েছে। খুব স্বল্প বাজেটের মধ্যে কাজটা করতে হয়েছে। এক ঘন্টা ৫০ মিনিটের পুরো ওয়েব সিরিজটা পাঁচটা এপিসোডে ভাগ করে দেখানো হচ্ছে।

ডানদিকে পরিচালক ইন্দ্রনীল ব্যানার্জী ও অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

ইচ্ছে থাকলে উপায় নিজেকেই বার করতে হবে। এমনটাই বিশ্বাস করেন পরিচালক ইন্দ্রনীল ব্যানার্জি। ছোটবেলা থেকেই সিনেমা তৈরির ইচ্ছা ছিল। স্কুল পাস করেই বিভিন্ন ডিরেক্টরদের সঙ্গে অবজারভার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। তারপরেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরর কাজ করতে করতে স্কলারশিপ নিয়ে চলে যান নিউ ইয়র্ক একাডেমিতে ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে। পড়াশোনা শেষ করে তৈরি করেন ফিচার ফিল্ম। অনেক শর্ট ফিল্মও তৈরি করেছেন। ইন্দ্রনীলের কাজ দেখানো হয় অ্যামাজন প্রাইমে। অ্যাপেল টিভিতে দেখানো হয়েছে তাঁর কাজ। পরিচালকের তৈরি শর্ট ফিল্ম ইতিমধ্যে বহু আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার পেয়েছে।

সম্প্রতি একটি নতুন ধরনের ওয়েব সিরিজ তৈরি করে বেশ সাড়া জাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ‘পাঁচফোরনস্’ ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে youtube-এ। তাঁর আগের উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে রয়েছে টেলিফিল্ম বাহান্নবর্তী। যা ভীষণভাবে প্রশংসা পেয়েছিল মানুষের কাছে। উহ্য, ত্রিনয়নী, দ্যা মির– এগুলো বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অনেক পুরস্কার পেয়েছে। তিনি অনেক বিজ্ঞাপনের ছবি তৈরি করছেন। এবার তিনি হাত দিয়েছেন সিচুয়েশনাল কমেডি ওরিয়েন্টেড ওয়েব সিরিজের। পাঁচফোরনস্ ওয়েব সিরিজটি ইউটিউবে দেখানো শুরু হয়েছে। এটা একদম একটা ফ্রেশ কমেডি।

বাংলাতে এই ধরনের কমেডি প্রায় হয়নি বললেই চলে। গল্প চলবে আর ব্যাকগ্রাউন্ডের মাঝে মাঝে একটা হাসির রোল উঠবে। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ কলকাতাতেই প্রথম তৈরি করলেন পরিচালক ইন্দ্রনীল। এই কাজটা করার তাঁর খুব ইচ্ছে ছিল। অনেক বড় বড় হাউসে গেছেন। গল্প শুনে তাঁরা ভালো বললেও কেউ এই কাজটা করতে সাহস দেখাননি। অবশেষে প্রোডিউসার মহুল সিনহা তাঁর সঙ্গে কাজটি করতে রাজি হয়ে যান। অল্প বাজেটের মধ্যে কাজটি তৈরি করেন পরিচালক ইন্দ্রনীল। গল্প শুনে পরানদার এতটাই ভালো লেগে যায়, তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে যখন তুমি নেমে পড়েছো, চলো তোমার সঙ্গে আমিও সহযোদ্ধ হব।’

পরানদার এই কথাটাই আমাকে ভীষণভাবে ইন্সপায়ার করে। আমি পুরো ওয়েব সিরিজটা চার দিনে শেষ করি। বাজেটের কথাও মাথায় রাখতে হয়েছে। খুব স্বল্প বাজেটের মধ্যে কাজটা করতে হয়েছে। এক ঘন্টা ৫০ মিনিটের পুরো ওয়েব সিরিজটা পাঁচটা এপিসোডে ভাগ করে দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউটিউবে এই ওয়েব সিরিজটি দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে ৬ অক্টোবর থেকে। এভাবে প্রতি রবিবার একটি করে এপিসোড আপলোড হবে। দর্শকদের কাছ থেকে খুব ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি।