এ বছরেও মহাসমারোহে উদযাপিত হল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা এই প্রথমবার নিয়ে আসলো দীক্ষা মঞ্জরী। এর আগে মায়ার খেলা, তাসের দেশ মঞ্চস্থ হয়েছিল। শ্যামার ভূমিকায় ছিলেন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং। ১ জুন গাঙ্গুলি গ্রুপ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রবীন্দ্র সদনে। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা সেন, বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী পদ্মশ্রী সনাতন রূদ্র পাল সহ আরও অনেকে।
ওই সন্ধ্যায় প্রথমে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাহানা বক্সী, সৌমী ভট্টাচার্য্য, অদিতি গুপ্ত। নিবেদিত হয় ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথ’। এর পর নিবেদিত হয় দীক্ষা মঞ্জরী ‘শ্যামা’। শ্যামার ভূমিকায় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় নজর কাড়লেন। পাশাপাশি দীক্ষা মঞ্জরীর ছাত্র -ছাত্রীদের মনমুগ্ধকর নৃত্যে আপ্লুত দর্শকের। আলো পরিকল্পনায় ছিলেন দীনেশ পোদ্দার। বজ্রসেন-এর ভূমিকায় ছিলেন রঘুনাথ দাস। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন দক্ষিণায়ণ ইউকে-এর ডাঃ আনন্দ গুপ্ত। শ্যামার গান পরিবেশন করেন ঝিনুক বসু, বজ্রসেন ডাঃ আনন্দ গুপ্ত, উত্তীয় ও কোটাল-এর গানে সৌগত শঙ্খবণিক। বাকি সমবেত কণ্ঠের গানে ছিলেন শ্রীধারা গুপ্ত, মালা দাস, অদিতি চক্রবর্তী, মৌমিতা চক্রবর্তী, মাধবী পাল, ঋদ্ধি চক্রবর্তী, সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বিপ্লব মণ্ডল, সুব্রত বাবু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের যে কোনও গানে নৃত্য পরিকল্পনা করতে গেলে যথেষ্ট চর্চা করতে হয়। আমরা মূলত ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করি। তাই, আরও বেশী করে অন্য ধারার কোনও ফর্মের সঙ্গে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে অনেক রিহার্সাল করতে লাগে। আমরা খুব আনন্দ সহকারে এই ধরনের প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করি। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম গ্লোবাল আইকন। আরও বেশি করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে, বিশ্বের শ্রোতা -দর্শকদের কাছে ওঁনার সৃষ্টি, দর্শন আমাদের পৌঁছে দিতে হবে। এটা একটা দায়িত্ব বলে মনে করি। যত সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা হবে, তত সমাজের জন্য ভালো।’