ভূতেরা আমাকে ভয় পায়, তাই দেখা দেয় না: সুরঙ্গনা

প্রশ্ন: তোমাদের দু’জনের কারোর ভূতের এক্সপিরিয়েন্স আছে? ফিল করেছো কখনও?

সৃজা: না দেখেনি। তবে আমি এনার্জি ফিল করেছি। আমার দাদু মারা যাওয়ার পর আমি বাড়িতেই এনার্জি ফিল করেছি। তবে ওভাবে কোনও ঘটনার সম্মুখীন হইনি।

সুরঙ্গনা: আমি দেখেনি। কিন্তু আমি এক্সপিরিয়েন্স করতে চাই। আমার সেভাবে বিশ্বাস নেই। কারণ আমি কখনও দেখিনি, বুঝিনি। আমার কাছে এই বিষয়টাই পুরো শোনা বিষয়। তবে আমি এক্সপিরিয়েন্স করতে চাই। কারণ আমার হরর জনারটাই প্রিয়। আমি অনেক হরর ছবি দেখি। হন্টেড হাউসের কথা উঠলেই লাফিয়ে উঠি, যাব যাব করে। কিন্তু আমি কখনও ওভাবে ফিল করিনি। হয়তো ভূত আমাকে ভয় দেখাতে চায় না।


প্রশ্ন: জয়দীপদার সঙ্গে কাজের এক্সপিরিয়েন্স কেমন?

সুরঙ্গনা: জয়দীপদার সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। আগে আমি ‘অচিন্ত্য আইচ’-এ কাজ করেছি। ভীষণ নিপাট মানুষ। উনি জানেন, উনি কী করতে চান, কতটা করতে চান। সবটা ওঁর কাছে ঝকঝকে পরিষ্কার। তাই আমাদের সমস্যাই হয় না। সুন্দরভাবে কাজ করি। কম ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ করেন, সহজভাবে কাজ করেন, এক কথায় অনবদ্য।

সৃজা: ওটিটিতে আমার প্রথম কাজ এটা। জয়দীপদার সঙ্গেও। খুবই সাপোর্ট করেছেন। আমি ভয়ও পাচ্ছিলাম, প্রথম কাজ বলে। কিন্তু জয়দীপদা এত ঠান্ডা মাথায় সামলে সব কাজ করেন, বলার কথা না। আর আমি নিজে মাঝে মাঝে কনফিডেন্স হারিয়ে ফেললেও উনি আমার উপর ফেথ রেখেছিলেন। খুব সাপোর্ট করেছেন আমাকে।

প্রশ্ন: এইরকম হরর জনারের কাজ বাংলায় খুব বেশি হয় না। এখন অনেক রকমভাবে এই বিষয়টা নিয়ে কাজ হচ্ছে। তোমাদের কী মনে হয়, এই ‘নিশির ডাক’ সিরিজটায় আলাদা আর কী এসেন্স পাবেন দর্শক?

সুরঙ্গনা: দেখো, ভূত বেসড ছবি বা সিরিজ হলে কিছু জিনিস কমন থাকবে এ কথা ঠিক। তবে এই সিরিজে কিছু আলাদা বিষয় রয়েছে। যেমন, গান, যদিও আরও কিছু রয়েছে। কিন্তু বলে দিলে অনেকটা গল্প বলা হয়ে যাবে। তবে গান এই সিরিজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে রয়েছে। এত সুন্দরভাবে পরিচালক এই সিরিজটাকে এক্সিকিউট করেছেন, আমি আশা করব সকলের এই সিরিজ ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: ‘তানসেনের তানপুরা’র পর এই ‘নিশির ডাক’ সিরিজে গান সুন্দরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কী বলবে?

সৃজা: একদমই। যদিও এখনও সব গান রিলিজ করেনি। এখনও গান রিলিজ বাকি। তবে একথা সত্য যে, এই সিরিজে গানকে সুন্দর করে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ইমোশনকে সুন্দর করে ব্যবহার করা হয়েছে। বাজে করুণ সুরে যেমন আছে, তেমনি, ‘হারে রে রে রে রে’ দিয়ে বন্ধুত্ব বোঝানো হয়েছে। পরিচালক জয়দীপদার মুন্সিয়ানা এখানেই কোথায় যেন লুকিয়ে আছে।
সুরঙ্গনা: একটা কথা বলব, একটা হরর সিরিজে যেভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার হয়েছে, সেটা অনবদ্য।

প্রশ্ন: পুজো কেমন কাটল?

সৃজা: আমার ১০৪ জ্বরে কেটেছে। সেভাবে ঠাকুর দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ‘নিশির ডাক’-এর প্রচারে বেরোতেই হয়েছে। তাতেই যা ঠাকুর দেখলাম।

সুরঙ্গনা: ঠাকুর দেখতে বেরনো সেভাবে হয়নি। ছুটিটা উপভোগ করেছি চুটিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরেছি। আর অনেক অনেক অনেক ভালো সিনেমা দেখেছি।

প্রশ্ন: দর্শকদের কী বলবে?

সুরঙ্গনা: আপনারা দেখুন ‘নিশির ডাক’। কেমন লাগল আমাদের জানাবেন অবশ্যই।

সৃজা: এটা আমার প্রথম ওটিটি। এক্সাইটমেন্ট অনেক বেশি। প্লিজ, আপনারা ‘নিশির ডাক’ দেখবেন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কারণ, আর পাঁচটা হরর ওটিটি-র থেকে এই সিরিজ সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের গানের সঙ্গে কীভাবে জীবন মিলেছে, এই সিরিজে সেই কথা ধরা পড়বে।