বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কিংবদন্তী রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলেন বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পী-সুরকার গ্র্যামি জুরি পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর-এ শহিদ বীরদের স্মরণে গুলঞ্চ গাছ রোপণ করা হল তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দেশ’। নবীনা ও ক্ষণিকা হোমের আবাসিকাদের উদ্দেশ্যে রোপণ করা হয় পলাশ চারা, যার নাম করা হয় ‘বাহার’ রাগের নামে। তৃতীয় গাছটা অমলতাস, যার নাম করণ করা হয় ‘ললিত’, উৎসর্গ করা হল শান্তিনিকেতন-কে।
তিনটে চারাগাছের নামই করা হয়েছে ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের রাগের নামে। এই মাটি যেমন আত্মবলিদানের মাটি, আবার সঙ্গীত – সংস্কৃতির মাটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তির মাটি শান্তিনিকেতনে এরকম উদ্যোগ বিশেষত কিংবদন্তী রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাস ভবনের প্রাঙ্গণে হল। এই উদ্যোগে খুশি শিল্পীর পরিবারের পক্ষে সকলে। সহযোগিতায় এল্মহার্স্ট ইনস্টিটিউট ও মোহর বীথিকা অঙ্গন। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, ঋতপা ভট্টাচার্য প্রমুখ। এমন রাগ এর নাম ব্যবহার যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সুর সৃষ্টিতে বারবার ব্যবহার করেছেন।
পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস এর পাশাপাশি আমার জন্মদিনও। যে পৃথিবীর মাটিতে বড় হয়েছি, বাতাস থেকে অক্সিজেন নিচ্ছি তা যদি সুস্থ না থাকে আমরা নিজেদের প্রজন্ম, আগামী প্রজন্মের কাছে কী রেখে যাব। এর আগে অপব্যবহার যোগ্য বাদ্যযন্ত্রে বৃক্ষরোপণ করেছিলাম। যা দেখতেও ভালো হয়েছিল, কাজেও লেগেছিল। এবার এই পূণ্যভূমি-তে এসে বৃক্ষরোপণ করলাম যা আমার কাছে সম্মানের, গর্বের, শ্রদ্ধার।’ এল্মহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিস-এর পক্ষে প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় ও ঋতপা ভট্টাচার্য বলেন, ‘হোমের মেয়েদের উদ্দেশ্যে পলাশ চারা রোপণ করার তাৎপর্য খুব গভীর। ওঁরা নতুন যৌবনের দূত।’ সমগ্র অনুষ্ঠান ভাবনায় সুদীপ্ত চন্দ।