অভিনয়ে পিতা বলরাজ সাহনির অনুপ্রেরণাই ভরসা, পুত্র পরীক্ষিত সাহনির অকপট স্মৃতিচারণ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চলচ্চিত্রজগতের অভিজ্ঞ অভিনেতা পরীক্ষিত সাহনি নিজের জীবনে পিতা বলরাজ সাহনি এবং সহ-অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের অবদানের কথা উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন। তাঁর কথায়, অভিনয় তাঁর রক্তে। আর পিতা বলরাজ সাহনি ছিলেন সেই শক্ত ভিত্তি, যার ওপর দাঁড়িয়ে আজও তিনি শিল্পকে শ্রদ্ধা জানান।

পরীক্ষিত বলেন, ‘আমার বাবা বলরাজ সাহনি সবসময় সংলাপের অনুশীলন করতেন পাঞ্জাবিতে। কিন্তু পর্দায় এসে তিনি সেই সংলাপ বলতেন খাঁটি হিন্দিতে। পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার এই পাঠ আমি তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছি।’

অভিনেতা আরও জানান, তাঁর নামকরণের পেছনেও রয়েছে এক অনন্য কাহিনি। ‘আমার নাম রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছোটবেলায় আমি শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম বাবার সঙ্গে। তখনই তিনি বলেছিলেন, ‘এই ছেলেটার নাম হবে পরীক্ষিত।’ এজন্য পরীক্ষিত বলেন, আজও সেই নামের মধ্যেই আমি গর্ব অনুভব করি’।


সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে কাজের স্মৃতিও শেয়ার করেন তিনি। পরীক্ষিতের কথায়, ‘সঞ্জীব কুমার অসাধারণ অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনও বারণ মানতেন না। রাত দুটো পর্যন্ত তিনি খেতেন, গল্প করতেন, আর পরদিন সকালেই আবার শুটিংয়ে হাজির থাকতেন।’

কাশ্মীরে ‘গুল গুলশন গুলফাম’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ের সময়ের কঠিন পরিস্থিতির কথাও স্মরণ করেন অভিনেতা। বলেন, ‘তখন কাশ্মীরে ভয়ঙ্কর অশান্তি। আমাদের সরাসরি বলা হয়েছিল, ‘প্যাক আপ করো, না হলে মরো’। এরপর তিনি বলেন, ‘তবু আমরা সাহস হারাইনি, কাজ শেষ করেছিলাম।’

পরীক্ষিতের এই স্মৃতিচারণ যেন সময়ের সীমানা পেরিয়ে নিয়ে যায় এক সোনালি যুগের চলচ্চিত্র জগতে, যেখানে শিল্প, নিষ্ঠা আর মানবিকতার এক মেলবন্ধন ছিল অভিনেতাদের জীবনের আসল পাঠ।