১২ সেপ্টেম্বর হইচইয়ের পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে এই সিরিজটি। এই সিরিজটি মূলত একটি হরর কমেডি সিরিজ। এই সিরিজে বিভিন্ন সময়কালের ভূতের গল্প বলা হবে। যেমন পলাশীর যুদ্ধের আমলের ভূত থাকবে, তেমনই থাকবে বিদ্যাসাগরের আমলের ভূত। ১৯৭০-এর দশকের ভূতের কথাও থাকবে। শুধু ভয় নয়, এই সিরিজটিতে থাকবে নির্ভেজাল কমেডি। মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আভেরি সিংহ রায়, ঐশ্বর্য সেন, দীপান্বিতা সরকার, দেবরাজ ভট্টাচার্য, সৌনক কুন্ডুকে। এই সিরিজের পরিচালক কৌশিক হাফিজি। সৃজনশীল পরিচালনায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এর আগে ‘তালমার রোমিও জুলিয়েট’ সিনেমাতেও ক্রিয়েটিভ নির্দেশনায় কাজ করেছেন অনির্বাণ। সিরিজ নিয়ে আড্ডায় কলাকুশলীরা…
ভূততেরিকি নামটা কেন? কীভাবেই বা মাথায় এল?
দীপান্বিতা: আসলে অনেক নাম দেওয়া হচ্ছিল। কিছুই ভালো লাগছিল না। নাম পাঠানোর তাড়াও ছিল। তো, একদিন আমাদেরই এক বন্ধু, সেও থিয়েটার করে। ভূত নিয়ে শুনে বললেন, ভূত নিয়ে নাম পাচ্ছো না, ধুত্তেরিকি। আচ্ছা ‘ভুততেরিকি’ই দিয়ে দাও। প্রথমে আমরা শুনে খুব হেসেছিলাম। তারপর সেটাই ফাইনাল হয়ে গিয়েছে।
আভেরির চরিত্র ভানুদিদির, এই ভানুদিদি কাকে ভয় পায়?
আভেরি: অনেক ভূতের বাস। তবে ভানুদিদি কাউকে ভয় পায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের কাছের মানুষকে হারানোর জন্য ভয় পায় ভানুদিদি। তার কাছে এটাই তো পরিবার। তবে পুরো বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং। মানুষ দেখলে বুঝতে পারবেন। তাই আগেই কিছু সেভাবে রিভিল করব না।
‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর ছাপ পাওয়া যাচ্ছে এই সিরিজে। তেমন কী কিছু ব্যাপার আছে?
পরিচালক: ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ অনবদ্য সিনেমা। সে সিনেমার জুড়ি মেলা ভার। আমরা বহুবার দেখেছি ওই ছবি। ভালো কাজের ছাপ তো থাকেই। তবে এখানে নিপাট ভূতের গল্প। আরও কিছু এসেন্স তো আছেই। সেটা দেখলে বোঝা যাবে।
তোমার সিরিজের বিউটি কী?
পরিচালক: এখানে মানুষ ও ভুত এক ছাদের তলায়। ভুতের বাড়িতে আসছে মানুষ। সেখানে কী হচ্ছে, মানুষের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে ভুতেদের জীবনও পাল্টাচ্ছে? সেটা কীভাবে হচ্ছে? এই সব কিছুই রয়েছে এই সিরিজে।
শুটিংয়ের সময় নিশ্চয় ভীষণ মজা করে কাজ করেছো সকলেই?
উত্তর: হ্যাঁ। আসলে আমরা ভেবে চিন্তে খেটে কিন্তু আনন্দ করে কাজ করেছি। শুটিংয়ের সময় মজা করেই শুটিং করেছি। অনেক কিছু শিখেছি। বুঝে কাজ করেছি। তার থেকেও বড় কথা, ভালো সময় কাটিয়েছি। এখনও ওই শুটিং য়ের সময়ের চরিত্র থেকে হয়তো আমরা বেরোতে পারিনি। তার কারণ, মাঝে মাঝে এখনও নাকি সুরে কথা বলে ফেলছি। জানি না কেন! ওই রকমভাবেই কথা বলে ফেলছি। তারপর নিজেই হাসছি। বিষ্ণুপ্রিয়ার আটপৌরে সাজ। রাজিয়া পাঠান পেত্নি আর ঐশ্বর্যর একটু রেট্রো লুক। সব মিলিয়ে ভুতেদের কাজকারবার ভালোই মজায় কাটিয়েছি। এই সিরিজ দেখলে মানুষ মজা পাবেন। ভয়ের নয় নিপাট মজার কমেডি বেস একটা সিরিজ শুধু ভুতেদের নিয়ে।
অনির্বাণকে নিয়ে কী বলবে? এই সিরিজে অনির্বাণ ক্রিয়েটিভ পরিচালনার দায়িত্বে।
পরিচালক: অনির্বাণদা, কাজটা সহজ করে দিয়েছে। কত কিছু যে শিখেছি বলে বোঝানোর নয়। কাজ অনেক মসৃণ হয়ে গিয়েছে। ভাবনা চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। কখনও মনে হয়েছে, এটা এভাবে করব। কিন্তু অনির্বাণদা বলার পর মনে হয়েছে, ওভাবেই করা উচিত হবে। সব মিলিয়ে খুব ভালো এক্সপেরিয়েন্স। আশা করব মানুষ দেখবেন আমাদের কাজ। দেখে আমাদের জানাবেন অবশ্যই কেমন লেগেছে। আগামী ১২ তারিখ হইচইতে দেখা যাবে এই সিরিজটি।