পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস। সোমবার তৃণমূলের হয়ে পিটিশন ফাইল করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। অন্যদিকে রাজ্যে এসআইআর চালুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই দুটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিচারপতি সূর্য কান্তের এজলাসেই বিহারের এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরেই তৃণমূল ও কংগ্রেসের তরফে করা মামলার শুনানি হতে পারে। তবে বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর সংক্রান্ত মামলা তাদের কাছে আসবে কি না তা ঠিক করবেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে তৃণমূল দাবি করেছে, পরিকাঠামো ছাড়াই রাজ্যে এসআইআর শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এর ফলে প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকতে পারে। এমনকী বৈধ ভোটারের নামও বাদ পড়ে যেতে পারে। সোমবারই উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যের এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এত তাড়াহুড়ো না করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুই বছর সময় নেওয়া যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই জানা যায়, তৃণমূলের দুই সাংসদ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে কংগ্রেসের কাছে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই সব বিষয় তুলে ধরে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির অনুমতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। দলের দাবি, বিহারে এসআইআর–এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকে ৪৪ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সঠিক প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। কেন ২০০২ সালের তালিকা ধরেই এসআইআর হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনের কাছে এই প্রশ্নই বারবার করেছে হাত শিবির। ম্যাপিং ও লিঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। এর ফলে বহু বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে এসআইআর চালুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শাসকদল ডিএমকে আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এবার সে রাজ্যের সিপিএম–ও এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আসছে মানুষ। তার ভিত্তিতেই দলগুলি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে।
Advertisement