স্ত্রীকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভস্থ শিশু হত্যা, ভ্রুণ মাটিতে পুঁতে গ্রেপ্তার যুবক

প্রতিকি ছবি (Photo: Getty Images)

পণের টাকা দিতে পারেনি শ্বশুরবাড়ির লোক, এই রোষেই স্ত্রীকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভস্থ সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় গর্ভবতী স্ত্রীয়ের উপর নারকীয় অত্যাচারও চালাতেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে জামিরুল গাজি নামের অভিযুক্ত ওই যুবককে। পরবর্তীতে রেশমা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার ১৮ মাস পর উদ্ধার করে পুঁতে দেওয়া ভ্রুণ। 

ঘটনার সূত্রপাত পণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে। হিঙ্গলগঞ্জের ভেটকিয়া এলাকার বাসিন্দা রেশমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় জামিরুলের। বিয়ের সময় ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পণ নেন জামিরুল। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। এরপর ফের গর্ভবতী হয়ে পড়েন রেশমা। 

অন্যদিকে, জামিরুল একটি চাকরির জন্য রেশমার বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন। কিন্তু রেশমার মতো পরিবারের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। টাকা জোগাড় করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে রেশমার বাবার। এরপর থেকেই শুরু হয় স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার। মেয়ের প্রাণ রক্ষা করতে  ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জোগাড় করে দেন রেশমার বাবা। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হয়নি। উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে নির্যাতন। অভিযোগ, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রেশমাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভস্থ শিশুর হত্যা করে ধৃত। তারপর সেই ভ্রুণ মাটিতে পুঁতে রেশমাকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় পথের ধারে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার কোরে পৌঁছে দেয় বাড়িতে। এরপরেই রেশমা কিছুটা সুস্থ হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।