• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

এসআইআর আতঙ্কে ভাতারে ‘আত্মঘাতী’ এক মহিলা

মৃতার নাম মুস্তরা খাতুন কাজি। বাড়ি বর্ধমানের ভাতারের ভূমশোর গ্রামে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে

প্রতীকী চিত্র

এসআইআর আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে মৃত্যুমিছিল। এবার ফের ‘আত্মঘাতী’ হলেন এক মহিলা। মৃতার নাম মুস্তরা খাতুন কাজি। বাড়ি বর্ধমানের ভাতারের ভূমশোর গ্রামে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মৃতা মহিলা অবিবাহিত ছিলেন এবং বাপের বাড়ি থাকতেন। শুক্রবার রাতে নিজের গায়ে আগুন দেন বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাঁকে ভাতার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় ভাতার থানায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

Advertisement

মুস্তরা খাতুন কাজির বাবা-মা ছিলেন না। অনেক আগেই তাঁরা মারা গেছেন। তাঁরা তিন বোন ও এক ভাই। অন্যান্য ভাই-বোনদের বিয়ে হয়ে গেলেও মুস্তরা খাতুন কাজি অবিবাহিত ছিলেন। দাদা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিনরাজ্যে কাজ করেন। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই মস্তুরা আতঙ্কিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

তবে পরিবারের সদস্য ও তাঁর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। কোনওরকম সমস্যায় ওই পরিবারকে পড়বে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তবুও তাঁর আতঙ্ক কমছিল না। শুক্রবার মুস্তরা এসআইআর ফর্মও জমা দিয়েছিলেন। তারপরও তাঁর আতঙ্ক কমছিল না বলে জানিয়েছে পরিবার। রাতে তিনি সকলের অলক্ষ্যে গায়ে আগুন দেন বলে খবর!

ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাইদুল হক জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ভয় নেই, সেই কথা বোঝানো হয়েছিল। তারপরও আতঙ্ক কমেনি। সেই আতঙ্কেই গতকাল রাতে তিনি গায়ে আগুন দেন। তবে সাইদুল হকের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন অপরিকল্পিতভাবে এসআইআর করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটল।

শনিবার মৃতার বাড়িতে যান এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। ভাতার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement