মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা। খসড়া তালিকা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত না হলেও ইতিমধ্যে বিএলও অ্যাপে সেই খসড়া তালিকা দেখা যাচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। সংশ্লিষ্ট বুথ ধরে ধরে ভোটারদের নামের তালিকা দেখা যাবে সেখানে। প্রথমে ঠিক ছিল ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা। পরে তা পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর করা হয়। যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম থাকবে এই তালিকায়।
স্থানীয় বুথ, পঞ্চায়েত অফিস, পুরসভা অফিস, মহকুমা শাসকের দপ্তর এবং জেলাশাসকের দপ্তরে খসড়া ভোটার তালিকা দেখা যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন। অনলাইনেও দেখা যাবে খসড়া ভোটার তালিকা। ডিইও ওয়েবসাইট, সিইও ওয়েবসাইটেও ওই তালিকা দেখতে পাওয়া যাবে। এছাড়া ইসিআইনেট ওয়েবসাইটে দেখা যাবে এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা। ‘এসআইআর ফাইনাল পাবলিকেশন ২০২৫’-এর সেকশনে গিয়ে ‘সার্চ ইওর নেম ইন ড্রাফট রোল’-এ গিয়ে ক্লিক করে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর রাজ্যের নাম ও এপিক নম্বর দিতে হবে। আর তার পরেই তিনি তাঁর নাম খসড়া ভোটার তালিকায় দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Advertisement
কমিশন আরও একটি তালিকা প্রকাশ করবে, তাতে ম্যাপিং-এ হদিশ না মেলা ভোটারদের সংখ্যা থাকবে। কমিশন অনুযায়ী যাঁরা মৃত, ভুয়ো, স্থানান্তরিত ও অনুপস্থিত বলে চিহ্নিত, তাঁদের নাম থাকবে সেই তালিকায়। সব মিলিয়ে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংখ্যাটি ছিল ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জন। কমিশন সূত্রে খবর, এ ছাড়া খসড়া তালিকায় সকলেরই নাম থাকার কথা। কমিশন সূত্রে খবর, ওই তালিকা রাজ্যের প্রত্যেকটি বুথের বাইরে বিএলও ও বিএলএ-২-দের উপস্থিতিতে সোমবারই টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া, বুথ ভিত্তিক, বিধানসভা ভিত্তিক ও জেলা ভিত্তিক ওই তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিইও ও রাজ্যের সিইও ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।
Advertisement
গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশন। তখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভোটার ছিল ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯। কমিশন সূত্রে খবর, মোট ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই ফর্ম নিয়ে গিয়েছিলেন বিএলও-রা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারি-এর দপ্তর ইতিমধ্যে জেলাস্তরে ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে। সেখানে গিয়েও নিজেদের নাম দেখতে পারবেন সংশ্লিষ্ট জেলার ভোটারেরা। এই তালিকা প্রকাশের পরে সেখান থেকে অনেকেরই ডাক পড়বে কমিশনের শুনানিতে। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা।
Advertisement



