আমরাই বিকল্প, আমরাই ভবিষ্যৎ: কংগ্রেস

নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। (Photo: Twitter | @INCWestBengal)

ভােটের আগেই নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে চলছে প্রতিযােগিতা। এক রাজনৈতিক দলের দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে টপকে যাচ্ছে অন্য রাজনৈতিক দল। তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপির পরে সোমবার ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস । 

এদিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের ইস্তেহারের আট দফা অঙ্গীকারের মধ্যে অন্যতম হল ছত্তিশগড় মডেল অনুসরণ করে পরিবারপিছু মােটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে নারী সুরক্ষা ও শিক্ষার ওপর। 

ইস্তেহারের মলাটেই লেখা ছিল, ‘হ্যা, আমরাই পারি বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের বাংলাকে ফিরিয়ে দিতে’। 


ইস্তেহারের মধ্যে থাকা দু’টি স্লোগানের একটি হল ‘হাত বাড়ান, বাংলা বাঁচান। আমরাই বিকল্প, আমরাই ভবিষ্যৎ’। আর অন্যটি ‘এবার আর কোনও ভুল নয়, আর কোনও ফুল নয়’।

ইন্তোহারে বলা হয়েছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পরিবারপিছু ৫,৭০০ টাকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য বামেদের ইস্তেহারে এই টাকা সংখ্যার অঙ্কে ৯০০০। তৃণমূলের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ১০০০। আর বিজেপি সরাসরি পরিবারপিছু কোনও অর্থসাহায্যের কথা না বললেও বহু ক্ষেত্রে ছাড় এবং সুবিধে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সােমবার ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, লকডাউনের ফলে বাজারের চাহিদা কমছে। চাহিদা বাড়াতে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়া দরকার। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনও ফল হয়নি। তাই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমরা মানুষের হাতে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে এবং বাজারের চাহিদা বাড়ে। তাতেই কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

কংগ্রেসের ইস্তেহারে যে অঙ্গীকারগুলি করা হয়েছে, সেগুলি হল আইনের শাসন ও মহিলাদের নিরাপত্তা, শিল্পের প্রসার এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, কৃষকদের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের গুণগত মানােন্নয়ন, জল ও পরিবেশ রক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা, দান খয়রাতির রাজনীতি বর্জন করে স্থানীয় উন্নয়ন।

ইস্তেহাররে বলা হয়েছে। বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে বাংলা সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল, সেই বাংলাকেই ফিরিয়ে আনতে চায় কংগ্রেস। একুশের ভােটে কংগ্রেসের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী অধীর চৌধুরী। তিনি কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। টিকিটের চাহিদা থেকে বােঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।