ভাইজান এখন ধর্মীয় প্রচার ছেড়ে রাজনৈতিক প্রচারের মাধ্যমে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছে: রথীন ঘোষ

রথীন ঘোষ (ছবি: SNS Web)

বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল যারা প্রতিপদে চেষ্টা করে চলেছে। যাতে সমাজে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করা যায়। এই নােংরা চক্রান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাংলার অগণিত মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।

কিন্তু এখন নতুন এক নাম শােনা যাচ্ছে ভাইজান নামে, যিনি মুসলিম সমাজের কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে ধর্মীয় কথা বা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রচার ছেড়ে এখন রাজনৈতিক প্রচার এর মাধ্যমে পরােক্ষভাবে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছে। তিনি নাকি ভেতরে ভেতরে মিম দলের সাথে যােগাযােগ স্থাপন করেছেন। যাতে বাংলার আগামী নির্বাচনে মুসলিম ভােট ব্যাপক পরিমাণে কাটাকাটি হয় এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারে।

তার এই প্রয়াস আগামী দিনে বাংলার মুসলিম সমাজের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করতে পারে। তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কটু কথা বলে যেভাবে মুসলিম সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছেন, তাতে বিশেষ লাভ না হলেও, মুসলিম সমাজের বয়স জ্যেষ্ঠ সম্মানীয় মানুষেরাই এই কর্মকান্ডের নিরিখে আগামী দিনে তার বিচার করবেন।


সােমবার মধ্যমগ্রামে বঙ্গধ্বনির প্রচারে আয়ােজিত এক সভায় নাম না করে আব্বাস সিদ্দিকীর বর্তমান কার্যকলাপে অসন্তোষ প্রকাশ করে একথা বলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র রথীন ঘোষ।

একই সাথে তিনি আরাে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি, হিন্দু সমাজের পাশাপাশি সর্বদা মুসলিম সমাজকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। এমনকি বাবরি মসজিদ যখন ধ্বংস করা হয়েছিল তখনাে তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ সামান্যতম কিছু স্বার্থের জন্য।

সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে সকলকে ভুল বােঝাতে চাইছে ভাইজান। কিন্তু এই ভাবে বেশিদিন চলবে না। কারণ ঠিক ভুলের বিচার মানুষেরাই করবে। বাংলার সমাজে অনেক নামজাদা পীর সাহেবরা আছেন যারা সর্বদা। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রচার করেন। তাই ভাইজানের এই রাজনৈতিক প্রচার এর জবাব তাদের সমাজের শ্রদ্ধাশীল ও সম্মানীয় ব্যক্তিত্বরাই দেবেন।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিয়ে বলেন, যেখানে সৌমিত্র খাঁ এর পত্নী একজন স্ত্রী হয়ে বেশ ভালভাবেই বুঝে গেছেন যে বিজেপি’র দ্বারা কোন দিন ভালাে কিছু করা সম্ভব নয়, সেখানে বিজেপি সােনার বাংলা তৈরীর প্রতিশ্রুতি যে ভবিষ্যতে কার্যকর দ্বার কতটা সম্ভান্না রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বাংলার জনগণকে প্রতিমুহূর্তে বঞ্চনার শিকার বানাতে চেয়েছে কেন্দ্র সরকার, যার কারণে রাজ্যের পাওনা বিপুল অর্থ তারা এখনাে আটকে রেখেছে।

এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে বাংলার জনগণকে ক্রমশ খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু বাংলার জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের এই বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলার মানুষদের ভালাে রাখবার জন্য। একের পর এক প্রকল্পের সুচনা করে গিয়েছেন। তার পরিবর্তে বাংলার মানুষদের ও একটি বিষয় খুব ভালােভাবে মনে রাখা প্রয়ােজন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না থাকলে এই কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ অন্যান্য কোন প্রকল্প থাকবে না, যার দ্বারা সাধারণ মানুষেরা উপকৃত হন। তাই সকলে মিলে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে বাংলা থেকে বিজেপির মতন একটি নােংরা দলকে চিরদিনের মতাে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়।