• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শিয়ালদহ রেল স্টেশনের নামবদলে দুই প্রস্তাব

শিয়ালদহ স্টেশনের নামবদল ইস্যুতে আবারও মনীষীদের নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়াল বিজেপি-তৃণমূল। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে এটি কোনো নতুন তরজা নয়।

ফাইল ছবি

শিয়ালদহ স্টেশনের নামবদল ইস্যুতে আবারও মনীষীদের নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়াল বিজেপি-তৃণমূল। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে এটি কোনো নতুন তরজা নয়। বিজেপির প্রস্তাব, ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে হোক নতুন নাম। তা খারিজ করে বাংলার শাসকদল তৃণমূল স্মরণ করল স্বামী বিবেকানন্দকে। এ নিয়ে ফের নয়া শুরু বিতর্ক। অনেকেই যোগীরাজ্যে ঘনঘন স্টেশন ও বিভিন্ন পরিচিত স্থানের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে এর তুলনা করছেন। দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশনের এতদিনকার নাম বদলের প্রয়োজনই বা কী? উঠছে এই প্রশ্নও। শ্যামাপ্রসাদ নাকি বিবেকানন্দ, কে বাংলা-বাঙালির রক্তে বইছেন বেশি করে? সেই নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা।

উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে রবিবার। রানাঘাট-শিয়ালদহ এসি লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার অর্থাৎ ১১ আগস্ট থেকে ওই রুটে যাত্রীদের নিয়ে ছুটবে এসি ট্রেনটি। এদিন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিয়ালদহ স্টেশনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে রেলস্টেশনের নাম অনেকটাই নির্ভর করে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবের উপর। আজকের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার আর্জি, কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব করুন, শিয়ালদহ স্টেশনের নাম ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করতে। একসময়ে এই স্টেশনে হাজার হাজার উদ্বাস্তু এসেছেন। আর তাঁদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ যিনি করেছেন, সেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামেই এই স্টেশনের নাম হোক।’

Advertisement

যদিও, সেই দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদারের এই প্রস্তাবের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন চুঁচুড়ায় এক অনুষ্ঠান থেকে এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং বাংলার ইতিহাসে তাঁর অবদান মোটেও কম নয়। তবে তাঁর নামে তো বন্দর রয়েছে, তাহলে আবার শিয়ালদহ স্টেশন কেন? স্বামী বিবেকানন্দকে সামনে রেখে শিয়ালদহ স্টেশনের নাম স্বামী বিবেকানন্দ নামে করা হোক।’ কিন্ত বিবেকানন্দই কেন? নাম পরিবর্তনের পেছনে যুক্তি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন কুনালও।

Advertisement

ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘শিকাগো ধর্মসভায় ঐতিহাসিক বক্তৃতার পর তিনি জাহাজ থেকে ফেরার পথে শিয়ালদহে নেমেছিলেন। বিশ্বজয়ের পর শিয়ালদহ স্টেশনে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। যদি নামবদল করতেই হয়, তাঁর নামেই করা হোক।’ যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, এতদিনকার নাম বদলের প্রয়োজনই বা কী? তবে, বিজেপির দাবি মেনে কেন্দ্রের কাছে সেই মোতাবেক কোনো প্রস্তাব করেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী, এখন সেটিই দেখার।

Advertisement