মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়া নিয়ে এসএসকেএমের ব্যাখ্যা ‘ভুল’ বলল তৃণমূল নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিনিধি– মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পড়ে গিয়ে জখম হওয়া কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ আদতে ধাক্কা দেওয়াই হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে৷ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ এর ব্যাখ্যাকে ‘ভুল’ বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তাহলে? কিভাবে পড়ে গেলেন জননেত্রী? এ কোনো সাধারণ পড়ে যাওয়া নয়, রীতিমতো জখম হয়েছেন৷ এমনকি রক্তপাত হয়েছে৷ সব জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র শশী পাঁজা৷ তিনি বলেন, ‘পুশ ফ্রম বিহাইন্ড’ শব্দের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে৷

ধাক্কা রহস্যের ইতি টেনে শশী পাঁজা বলেন, “বিষয়টা সিনকোপ৷ অনেক সময় হঠাৎ করে মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ এর সঙ্গে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই৷ শরীরের মধ্যে আমচকা অস্থিরতা দেখা দেয়৷ সেই সময় কেউ পডে় যেতেই পারে৷ ” অর্থাৎ সহজ ভাষায়, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাওয়া ব্যাতীত কোনো জটিল বিষয় নয়৷ এমন কোনো কারণেই মুখ্যমন্ত্রী পড়ে গেছেন আচমকা ফলে কপালে চোট পেয়েছেন, দাবি শশী পাঁজার৷ যদিও শুক্রবার সকালে হাসাপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে৷ তিনি বলতে চেয়েছেন ধাক্কা দেওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর৷

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী পড়ে গিয়ে গুরুতর ভাবে জখম হন৷ কপাল থেকে রক্তপাত হতে থাকে৷ তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে৷ সেখানে তার সব রকমের চিকিৎসা করানো হয়৷ সে মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সেবায় নিযুক্ত ছিলেন অভিষেকও৷ হাসপাতালের তরফ থেকে জখম হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয় ‘পুশ ফ্রম বিহাইন্ড’ অর্থাৎ পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে৷ এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে গোটা বাংলা৷ চিন্তায় পড়ে যান রাজনৈতিক মহল থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী, সমর্থক এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা৷ কে ধাক্কা মেরেছেন? কেনই বা ধাক্কা মারা হলো তাও আবার মুখ্যমন্ত্রীর শোবার ঘরে? এসব প্রশ্ন উঠতে থাকে৷ নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলে ফারা, এই চিন্তায় রাত কাটে তৃণমূল নেতৃত্বদের৷ তবে হাসপাতালের ব্যাখ্যাকে আমল না দিয়ে সবকিছুর খোলসা করেছেন শশী পাঁজা৷


শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল৷ কিন্ত্ত বর্তমানে শশী পাঁজার ব্যাখ্যায় তিনিও আশ্বস্তবোধ করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জখম হলেও, ভর্তি ছিলেন না হাসপাতালে৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ তাই কিছুটা হলেও চিন্তার গাঢ়ত্ব কমেছিল তৃণমূলের একাংশের৷ বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের দাবি, তিনি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্থিতিশীল৷