হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার শিবনগর জাহিরা সমবায় সমিতি নির্বাচনে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে এই সমবায় দখল করেছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে, পাণ্ডুয়ার শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১১-১ আসনে জয়ী হয়েছে সিপিএম। বিগত দশ বছর তৃণমূলের দখলে ছিল সমবায়টি। এবার সেটি দখল করেছে সিপিএম।
রবিবার পাণ্ডুয়ার শিবনগর জাহিরা সমবায় সমিতির ৭৫টি আসনের আসনের মধ্যে ৬৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। তার মধ্যে ৩৯টি আসন দখল করে রাজ্যের শাসকদল। আগেই ৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল জোড়াফুল শিবির। তাদের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫টি। বাম সমর্থিত প্রার্থীরা পান ১১টি আসন। বিজেপি সমর্থিতরা পান ১২টি, কংগ্রেস পায় একটি আসন। বাকি ৬টি আসনে ভোট হয়নি।
Advertisement
প্রায় তিন হাজার সমবায় সদস্য ভোট দেন। গণনা শেষ হতেই আবির খেলা শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘এই জয় উন্নয়নের জয়। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, আগামী ২০২৬ নির্বাচনে বিপুল ভোটে পাণ্ডুয়ায় জিতবে তৃণমূল।’ সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, গতবারের থেকে ৯টি আসন বেড়েছে দলের। ভোটও বেড়েছে। কয়েকটি আসনে খুব কম ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে। এর কারণ খতিয়ে দেখা হবে। আর বিজেপির বক্তব্য, পাঁচ বছর পরে এই সমবায়ে আবার নির্বাচন হলে গেরুয়া পতাকা উড়বে।
Advertisement
অন্যদিকে, পাণ্ডুয়ার শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে সিপিএম। এই সমবায়ে মোট ৭৩২ জন ভোটার রয়েছেন। শনিবারের নির্বাচনে তৃণমূল এবং বাম সমর্থিত প্যানেল ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি সমর্থিত প্যানেল প্রার্থী দিয়েছিল ছ’টি আসনে। তবে বিজেপি সমর্থিত প্যানেল কোনও আসনেই জয়ী হতে পারেনি। ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। একটিতে জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী।
পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘চার মাস আগে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূল করতে দেয়নি। ওরা জানত, তাদের উপর মানুষের ভরসা নেই। দশ বছর ধরে তৃণমূল এই সমবায় দখল করেছিল। সমবায়কে লুট করেছে। এই সমবায়কে দুর্নীতি মুক্ত করতে বাম প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে খেতমজুর, কৃষক, বর্গাদার, পাট্টাদাররা।’ পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের বক্তব্য, কেন এমন ফল হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
Advertisement



