জগন্নাথের হাত থেকে নদীয়াকে মুক্ত করতে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি

কলকাতা, ১১ মার্চ: নারী দিবসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তিনি নারী দিবসের মিছিলেও হাঁটেন। ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন তিনি। যার ফলে যথেষ্ট চাপে রয়েছে গেরুয়া শিবির। রবিবার প্রার্থী হিসেবে দল তাঁকে মনোনয়ন দিতেই মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘‌দুর্নীতির অন্যতম পান্ডা জগন্নাথ সরকারের হাত থেকে নদিয়াবাসীকে আমি উদ্ধার করতে চাই। মূলত এই কারণেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’‌

এদিকে রানাঘাট নিয়ে দলের ভিতরে আলোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার উপর মুকুটমণিকে প্রার্থী না করার জেরে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে মুকুটমণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিষেক রাজি হতেই খেলা ঘুরে যায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‌এখানে বিজেপি সাংসদ কোনও উন্নয়ন করেননি। মানুষ এখানে কাজ চায়। পরিষেবা চায়। রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প মানুষ পেয়েছে। সেখানে কেন্দ্র থেকে কী পেয়েছে?‌ এই প্রশ্ন মানুষ করছেন। তাই মানুষের কাজ করতেই আমার তৃণমূলে আসা।’‌

অন্যদিকে মুকুটমণি অধিকারীকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় প্রাপ্তি হিসেবে রবিবারের জনগর্জন সভা থেকে মুকুটমণির নাম প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করেছে তৃণমূলের হাই কম্যান্ড। ঘসফুল শিবিরের দাবি, এখানে মুকুটমণি অধিকারী মতুয়া ভোট ভালই পাবেন। কারণ তিনি এখানকার ভূমিপুত্র। তাই প্রার্থী হয়ে তাঁর বক্তব্য,‘‌বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার দুর্নীতিগ্রস্থ। আর জগন্নাথ সরকারের অত্যাচারে নদিয়াবাসী অতিষ্ঠ।’‌ জগন্নাথ সরকারের নামে অনেক অভিযোগ থাকলেও তিনিই ফের বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট পেয়েছেন।


তাছাড়া ২০১৯ সালে জগন্নাথ এই কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন। কিন্তু কিছুই কাজ করেননি। ব্রিগেডের সমাবেশে মমতাও একই প্রশ্ন রাজ্যের মানুষের কাছে ছুঁড়ে দেন। ১৮ জন সাংসদ হলেও বিজেপি রাজ্যকে গত পাঁচ বছরে কি কাজ করেছে? মমতা বিজেপি সাংসদদের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার দাবি জানান।