বাদুড়ঝোলা হয়েই চলেছেন যাত্রীরা

স্বংয়ক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থার কাজের জন্য গত রবিবার থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদা মেইন শাখায় প্রায় ৩০০টি ট্রেন বাতিল রয়েছে।

Written by SNS Kolkata | February 15, 2020 4:21 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

স্বংয়ক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থার কাজের জন্য গত রবিবার থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদা মেইন শাখায় প্রায় ৩০০টি ট্রেন বাতিল রয়েছে। ট্রেন বাতিলের ফলে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন শিয়ালদা মেইন শাখার যাত্রীরা। অফিসযাত্রী থেকে নিত্যযাত্রীরা বাড়ি ফেরার জন্য একপ্রকার বাদুড়ঝােলা ফিরছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত এক যাত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, পুনর্নির্মাণের জন্য বন্ধ টালা ব্রিজ। ব্রিজ বন্ধ থাকায় তারা ট্রেনকে বেছে নিয়েছিলেন। যদিও এর মধ্যেই ৮ দিনে প্রায় ৩০০ ট্রেন বাতিল করার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তারা।

বারাকপুর, বেলঘরিয়া, সােদপুরের অধিকাংশ যাত্রী বাস বা অটো করে বিরাটি, মধ্যমগ্রাম অথবা বারাসত স্টেসন দিয়ে বনগাঁ শাখার ট্রেন ধরে দমদম বা শিয়ালদাতে পৌছচ্ছেন। যদিও এতে ভােগান্তি না কমে বরং বেড়েছে বলেন যাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, বাস বা অটো করে বারাসত বা মধ্যমগ্রামে এসে ট্রেন ধরে শিয়ালদা বা দমদমে আসতে একাধারে যেমন ঢাকা বেশি খরচ হচ্ছে, অধিক সময় লাগছে, পাশাপাশি বনগাঁ বা হাসনাবাদ শাখার ট্রেনে যে ভিড় থাকে, তাতে মেইন লাইনের যাত্রীরা এই ট্রেনে আসায় ভিড় ঠেলে আসতে হচ্ছে।

একদিকে টালা ব্রিজ বন্ধ, অপরদিকে ঠিক একই সময়ে সিগন্যালিংয়ের জন্য এত ট্রেন বাতিল হওয়ায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তােলেন যাত্রীরা। দমদমের বাসিন্দা অনুজ কুমার নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, ট্রেনের সমস্যার কারণে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসগুলি ধরতে দেরি হচ্ছে তাঁর। আটদিনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ দিন অতিক্রান্ত আর দু’দিন এই নরক যন্ত্রণা ভােগ করতে হবে তাদের বলছেন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে রেলকর্তারা বলছেন, সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ফলে ভবিষ্যতে নৈহাটি-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল মসৃণ হবে। যাত্রীদের যেন সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ট্রেন বাতিলের খবর ঘােষণা করা হয়েছিল প্রতিটি স্টেশনে। ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হলে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।