অভিষেকের স্ক্যানারে এবার সীমান্তবর্তী এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলি। লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালিকে কেন্দ্র বিজেপির সাজানো ‘মিথ্যে প্লট’ বাংলার শাসকদলের সংবেদনে আঘাত করেছিল। যদিও বসিরহাটে তৃণমূলের ব্যাপক মার্জিনে জয় বিজেপির মুখোশ খুলে দিলেও পুনরায় পদ্ম শিবিরকে সেই সুযোগ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নারাজ অভিষেক। ‘বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না’ মঙ্গলবার বসিরহাট এবং যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা নিয়ে আয়োজিত ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠকে এ কথাই বারংবার বললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
দুই সাংগঠনিক জেলাতেই তৃণমূলের দাপট থাকলেও, বসিরহাট সীমান্তবর্তী হওয়ায় কড়াকড়ি অবস্থান নিচ্ছেন অভিষেক। বৈঠকে তাঁর আশঙ্কা, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু এলাকায় ফের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে বিজেপি! এসআইআর তো বটেই একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে টার্গেট করে বিজেপি অশান্তির আগুন জ্বালানোর ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিলেন তিনি। তাঁর সোজা বার্তা, দলীয় নেতৃত্ব যেন ধর্মীয় উস্কানি বরদাস্ত না করেন। ‘সম্প্রীতির বাংলায় ধর্মীয় বিভেদের আঁচড় লাগতে দেবেন না’ পরামর্শ অভিষেকের। হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির মধ্যে বিরোধ নিয়ে অসন্তুষ্ট দল।
Advertisement
এখানেই শেষ নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআরকে সামনে রেখে নতুন করে যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটাতে পারে বিজেপি, সেজন্য সতর্ক থেকে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। ষড়যন্ত্র করে বসিরহাট লোকসভার উপনির্বাচন বিজেপি আটকে রেখেছে, তবে বিধানসভা ভোটের সঙ্গে সেই নির্বাচন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত তাঁর। অন্যদিকে, অভিষেকের নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। সেই কেন্দ্রেও সজাগ দৃষ্টি সাংসদের। উৎসবের মধ্যে কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘পুজো কমিটি গুলির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়াতে হবে।
Advertisement
বড় সভা না করে ছোট সভায় রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পে তুলে ধরে প্রচার করতে হবে।’ পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে তাঁর আরও বার্তা, রাজনৈতিক লড়াইতে মহিলাদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। দুই সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকেই মহিলাদের আরও বেশি করে সামনের সারিতে আনতে বলেছেন অভিষেক। সেই সঙ্গে জেলার টাউন ও ব্লক সভাপতি পরিবর্তন-পরিমার্জন নিয়েও এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
Advertisement



