৮০ হাজার বুথের মধ্যে হাজারখানেকে দুর্নীতি : পার্থ চট্টোপাধ্যায়

দুর্নীতির সঙ্গে কোনও মতে আপস করা হবে না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে দল আগামী দিনে কোন পথে চলবে তার দিশা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | July 6, 2020 1:51 pm

পার্থ চট্টোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

দুর্নীতির সঙ্গে কোনও মতে আপস করা হবে না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে দল আগামী দিনে কোন পথে চলবে তার দিশা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিমোর নির্দেশ মেনে জেলায় জেলায় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শোকজ করছে ঘাসফুল শিবির। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হয়েছে নন্দীগ্রাম ও মালদা। রবিবার এই নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তি হবেই। দেখা হবে না পতাকার রং। আম্ফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এই নিয়ে ‘রাফ-টাফ’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেকারণে যারা ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে টাকা তুলেছিলেন তারা ফেরত দিচ্ছেন।

এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব বলেন, বাংলায় ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। তার মধ্যে হাজারখানেক বুথে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যাই হোক শুধু তাড়িয়ে দিলে হবে না, আমরা দেখব কি শাস্তি দেওয়া যায়। দুর্নীতির কথা বলে বাংলার পুনর্গঠনের কাজ বিলম্বিত করা হচ্ছে। চক্রান্ত চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্বিক পরিশ্রমকে ব্যর্থ করার। কিন্তু এই চক্রান্ত পরাস্ত হবে বলেও পার্থবাবু মন্তব্য করেন।

সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের নেতাদেরকে কাঠগড়ায় তুলে একাধিক মন্তব্য করেছেন। এদিনও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তার উত্তর দিয়েছেন পার্থবাবু। আইনের শাসন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু মুখ খুলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, বাংলায় যদি আইনের শাসন না থাকে, তাহলে কি উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন রয়েছে? উত্তরপ্রদেশে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা কি দেখছেন সেখানে কি চলছে? দিলীপবাবু উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান।

দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল হতাশা থেকে লাল চোখ দেখাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, ফেসবুকে কিছুদিন আগে সোশ্যাল সাইটে দিলীপবাবু কি যেন দিয়েছিলেন, বদল হবে, বদলাও হবে। সেটা কি দেখে বলেছিলেন? আসলে এখন নিজের কথাটাই নিজেই ঢোক গিলছে দিলীপবাবু।

কুলতলীতে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে পার্থবাবুর পাল্টা, দিলীপবাবু আগে নিজের দল সামলান। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে। কারা দুষ্কৃতী তা মানুষ জানে। দুষ্কৃতীদের যে বিজেপি মদত দিচ্ছে সেটা জলের মতো পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজকর্মকে বিজেপি চেষ্টা করছে চক্রান্ত করে রুখে দিতে। সেকারণে অপপ্রচার চলছে বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে তা দিলীপবাবু বুঝেও বুঝতে চাইছেন না।