মদনের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতার হাতেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এমনই বলতে শোনা গেল মদন মিত্রকে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে এস বি এস টি সি এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দরাজ সার্টিফিকেট দিতে দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। মদন এদিন বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনই ইগনোর করা যাবে না।’

মদন এদিন জানান, ফেসবুকে তিনি সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা দেখেছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই ব্যবহার করা যাবে। আর কারও নয়।


এ প্রসঙ্গে বিধায়কের বক্তব্য, ‘কেন কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই ব্যবহার করতে হবে? অভিষেকের ছবি ব্যবহার করা যাবে না? আমার তো ওঁর মুখটা বেশ মিষ্টি লাগে।

তাছাড়া ওঁর মতো যুবনেতা যদি এসে দাঁড়ায়, তরুণ প্রজন্ম আরও শক্তিশালী হবে। তাই আমি ওঁর ছবি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছি।’

একইসঙ্গে মদন বলেন, ‘আমার তো বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের মতো প্রবীণদের উচিত অভিষেকের মতো নেতার হাতে দায়িত্ব দেওয়া। অভিষেক আমাদের মেসি-নেইমার।

ও তো এখনও ময়দানে নামেইনি। নামলে দেখবেন। ও যদি একবার বলে দিল্লি চলো। সমস্ত যুব সম্প্রদায় উজ্জীবিত হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন অবসর সময় পাই, তখন শেলি, বাইরন, কিটস, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র পড়ি।

সৌগত রায়ের লেখা পড়ি না।’ শৃঙ্খলাভঙ্গ প্রসঙ্গে এদিন মদন বলেন, ‘এই দলে সবথেকে বেশি যদি কেউ নিয়ম মেনে চলে, তার নাম মদন মিত্র।

তাই আমার বিরুদ্ধে যদি শৃঙ্খলাভঙ্গের চিঠি পাঠায় আমার কাছেও তার উত্তর তৈরি থাকে। আমার বুক চিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা আছে দেখা যাবে।’

এরপরই তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ও লাভলি’ গানটি গাইতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন অসহ্য লাগছে।