• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শহরে মহিলা স্টাফদের যাতায়াতে উঠছে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন

মারণ ভাইরাস করােনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের লকডাউন চালু রয়েছে। সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ বলা যায়। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে সড়ক রুটের যাত্রীবাহী বাস।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: iStock)

মারণ ভাইরাস করােনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের লকডাউন চালু রয়েছে। সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ বলা যায়। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে সড়ক রুটের যাত্রীবাহী বাস। মেট্রোরেল থেকে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ বলা যায়। তবে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারি বাস চলছে।

লকডাউনের প্রথম ধাপে রেলে রাজ্য সরকারের জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের ট্রেনে চাপার ছাড়পত্র ছিল না। তবে বর্তমানে পুলিশ, ব্যাংক, আদালত, টেলিকম প্রভৃতি সংস্থার কর্মীদের রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনে চাপার অনুমতি দিয়েছে। হাওড়া স্টেশন কিংবা শিয়ালদহ স্টেশন যথেষ্ট জমজমাট বলা যায় এইসব ট্রেন যাত্রীদের সৌজন্যে।

Advertisement

তবে স্টেশনের বাইরে ধূ ধূ মাঠ বলা যায়। কেননা নেই সেরকম জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী স্টাফদের নিয়ে যাওয়ার মত বাস। একপ্রকার বাধ্য হয়েই ট্যাক্সিতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। তবে ট্যাক্সি চালকদের একাংশের মধ্যে এক চক্র গড়ে উঠেছে রাস্তায় পুলিশ্নে সেভাবে উপস্থিতি না থাকায়। ট্যাক্সি চালকদের বেশিভাগ ‘শেয়ার’ যাত্রী নিচ্ছেন।

Advertisement

এই শেয়ার ট্যাক্সিতে থাকা যাত্রীরা একে অপরকে চেনে না। তাই ট্যাক্সি চালকদের মদতে শেয়ার যাত্রীর ছদ্মবেশে কোনও দল গড়ে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষত জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত মহিলা যাত্রীরা এদের টার্গেট বলে অনেকেই আশংকা করছেন।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে লালবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে এক মহিলা কর্মী এইরুপ শেয়ার ট্যাক্সিতে উঠেন গিরিশপার্কে যাওয়ার জন্য। ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাক্সি চালক ওই মহিলাকে যেনতেন প্রকারে মিষ্টি খাওয়ানাের চেষ্টা চালান বলে দাবি।

এমনকি ওই মহিলাকে গিরিশপার্ক ছাড়িয়ে অন্য রুটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। তবে ওই মহিলা স্টাফ কড়া মেজাজ দেখিয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে যান। কলকাতার বিভিন্ন ট্রাফিক মােড়ে পুলিশের সেইরকম উপস্থিত না থাকায় এই অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

Advertisement