রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো ২৬৫ টাকা

পেট্রোল ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পার। তাই শাকসবজীর দাম ক্রমশ বাড়ছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো ২৬৫ টাকা।

Written by SNS Kolkata | November 2, 2021 1:31 pm

(151120) -- KATHMANDU, Nov. 20, 2015 (Xinhua) -- Nepalese people wait in a queue with their empty cooking gas cylinders at a gas depot for fresh supply in Kathmandu, Nepal, Nov. 20, 2015. Nepal is facing fuel and cooking gas shortages due to continuous protest of southern Madhesi groups and unofficial blockade of Indian border. (Xinhua/Sunil Sharma) ****Authorized by ytfs****

পেট্রোল ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পার। তাই শাকসবজীর দাম ক্রমশ বাড়ছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো ২৬৫ টাকা। সংসার চালানোর এলপিজির দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রমাগত। সব মিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির চাপে পকেটে টান আমআদমির। বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ২৫০ টাকার বেশি উঠে যাওয়ার অর্থ, হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাওয়ার শখ মেটাতে গেলে খরচ বাড়বে।

যাঁরা হোম ডেলিভারির মাধ্যমে খাবার আনিয়ে খান , তাঁদের খরচও বাজেট ছাড়িয়ে যাবে। ২৬৫ টাকা বাড়ার পর কলকাতায় খাবারের দোকানে ব্যবহার করা ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াচ্ছে ২০৭৩.৫০ টাকা। দিল্লিতেও তার দাম ২ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। তার দাম এতদিন ছিল ১৭৩৩ টাকা। মুম্বইয়ে ছিল ১৬৮৩ টাকা। এবার হচ্ছে ১৯৫০ টাকা। চেন্নাইয়ে হচ্ছে ২১৩৩ টাকা।

কলকাতায় ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৯২৬ টাকায়। তা যে কোনওদিন বেড়ে যেতে পারে চলতি প্রবণতার সঙ্গে তাল রেখে। ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির ধাক্কাতেই বাড়ছে ঘরোয়া এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। শীঘ্রই তা ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চলতি বছরে ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম জানুয়ারিতে ছিল সিলিন্ডারপিছু ৬৯৪ টাকা। তারপর ৮ দফায় তার দাম বেড়েছে ভারতে এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধির পিছনে যে দুটি ফ্যাক্টর কাজ করে, সেগুলি হল আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম আর ডলার-টাকার বিনিময় হার।

বেন্ট অশোধিত তেলের দাম বর্তমানে ব্যারেলপিছু ৮৪ মার্কিন ডলারের আশেপাশে। গত শুক্রবার ডলার-টাকার বিনিময় হার ছিল ৭৪.৮৮। চলতি নিয়ম অনুসারে দেশে বছরে ১৪.২ কেজির ১২ টি সিলিন্ডার ভরতুকি দামে পাওয়া যায়। এর বেশি কিনতে হলে বাজার দর বা ভরতুকিহীন দাম দিতে হবে।