বাংলার মানুষ জবাব দিতে প্রস্তুত: পিকে

প্রশান্ত কিশোর (File Photo: IANS)

ভােটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর দিন সকালেই নিজের পুরনাে একটি টুইটের কথা প্রকাশ্যে এনে বিজেপি-কে আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশাের। গত ডিসেম্বরে করা যে টুইটের কথা পিকে শনিবার উল্লেখ করলেন, সেখানে তিনি বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ করে লিখেছিলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্কে যাবে না। সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার এই টুইটটা সেভ করে রাখুন। বিজেপি এর থেকে ভাল ফল করলে আমি এই জায়গা ছেড়ে দেব।’ 

শনিবার তাঁর টুইটে বলেন, ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে। বাংলার মানুষ স্বমহিমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবার ফিরিয়ে আনবেন। ২ মে তার প্রতিফলন দেখা যাবে। সেই প্রসঙ্গেই তিনি ফের তাঁর পুরনাে টুইটটির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। 

টুইটে লেখেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় লড়াই হতে চলেছে বাংলায়। সেই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজ্যের মানুষ। ঠিক সময়েই তাঁরা বার্তা দিয়ে দেবেন। ২ মে আমার আগের টুইটটির কথা মনে রাখবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের জনসভা থেকে জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, এ বার ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। 


তার কথার রেশ ধরেই বিজেপি-কে কটাক্ষ করেই পাল্টা টুইট করেছিলেন পিকে । যেখানে তিনি বলেন, বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্কে যাবে না। এ নিয়েই একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা টুইট করতে শুরু করেন। প্রশান্তের টুইটের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। 

শুত্রবারই ভােটের নির্ঘণ্ট ঘােষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আট দফায় ভােট হচ্ছে বাংলায়। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে দুই যুযুধান শিবির অনেক আগে থেকেই ময়দানে নেমেছে। তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ প্রান্ত ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন।