পুরনো কর্মীদের গুরুত্বই ছিল না দিলীপের কাছে

সুকান্ত-শুভেন্দু জমানায় রাজ্য বিজেপিতে অনেকটাই কোণঠাসা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে পুরনো কর্মী-সমর্থকদের হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সওয়াল করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। কিন্তু দিলীপের এই পুরনো কর্মীদের জন্য প্রেমকেই সন্দেহের কাঠগড়ায় তুলছেন।

খড়গপুর শহরের চার দশকের বিজেপি করা এক নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা দলীয় কার্যালয়ে বসেন ,সাংসদের বাংলোয় গেলেই পরিস্থিতিটা বুঝতে পারতেন, আগে দিলীপদা খড়গপুরে এলে বাংলোর সামনে সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে থাকত। সবাই নিজেদের সমস্যা সমাধানের আশায় সাংসদের কাছে ভিড় করতেন।

দিলীপদার আশেপাশে কিছু ধান্দাবাজ, রাজনৈতিক জ্ঞান বিন্দুমাত্র না থাকা লোক ভিড় করে রাখতেন। এরা অনেক সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।


দিলীপদা শুনেও হয়তো গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দিলীপদার সমইে খড়গপুর শহর, কেশিয়াড়ী, নারায়ড়গড়, দাঁতনে পুরনো কর্মীরা ব্রাত্য হয়ে যায়।

সংগঠনে সামনের সারিতে যাঁদের নিয়ে আসা হয়, তাঁদের বেশির ভাগ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এঁরা বুথ কমিটির নাম পাঠানোর সময় যারতার নাম পাঠিয়েছে।

ফলে ভেতর থেকে সংগঠন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। বলা ভালো, নীচুতলায় সংগঠনই তৈরি হয়নি।

২০১৯ সালে মোদি হাওয়ায় দল ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০২১ – এ অনুকূল পরিস্থিতি থাকার পরেও ভোটে তার প্রতিফলন হয়নি সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য। না হলে খড়গপুর সদর,দাঁতন, নারায়ণগড় হাতছাড়া হয় না।

খড়গপুর সদরেও প্রত্যাশিত ভোট টানতে পারেনি বিজেপি। এর সঙ্গে ছিল জনসংযোগ না থাকা , কিছু চাটুকারদের প্রার্থী করা। এদের মানুষ পছন্দ করেনি।

বিজেপিকে সমর্থন করলেও প্রার্থীকে তাঁরা রিজেক্ট করেছেন। খড়গপুর পুর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত করে চাটুকারদের উপর ভরসা রাখতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা বলেন, সংগঠনের পদে যাঁরা বসে আছেন,তাঁদের সরিয়ে আমূল সংস্কার না করলে আগামীদিনে ভালো ফলের প্রত্যাশা বিজেপির না করাই ভালো।