হাজিরার অসুখ সারাতে হাসপাতালে বসবে মেশিন

Written by SNS March 31, 2024 2:11 pm

খায়রুল আনাম

জেলা বীরভূমের তিনটি মহকুমাতে যে তিনটি মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে, সেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, সিউড়ি মহকুমা হাসপাতাল ও রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নিত করা হয়েছে৷ রামপুরহাটে চালু হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ কিন্ত্ত কোনও হাসপাতাল থেকেই যে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না, তার ভুরি ভুরি অভিযোগ যেমন রয়েছে তেমনি, বহুক্ষেত্রে তার প্রমাণও সামনে এসেছে৷ সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে রোগীর মৃতু্যজনিত কারণে হাসপাতালে ভাঙচুর, চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীরা পর্যন্ত রোগীর আত্মীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন৷ কর্ত্তব্যরত এক শ্রেণির চিকিৎসক, নার্সদের হাসপাতালের ভিতরে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে মোবাইল হাতে বসে বসে নানাভাবে তা ব্যবহার করতে দেখা যায়৷

হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে এক শ্রেণির চিকিৎসকের বাইরে চেম্বারে বসাটা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে৷ মৌমিতা গোদারা বসু বীরভূমের জেলাশাসক থাকাকালীন সময়ে তিনি হঠাৎই রামপুরহাট সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে স্টেথোস্কোপ গলায় এক ব্যক্তিকে রোগী দেখতে দেখে তাঁর সন্দেহ হওয়ায়, তিনি ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছিলেন যে, হাসপাতালে কর্ত্তব্যরত চিকিৎসক এখন যে ওষুধের দোকানে বসে রোগী দেখছেন, তিনি সেই দোকানের কর্মী৷ ডাক্তারবাবু প্রতিদিনই এটা করেন৷ এমন কী, জেলাশাসক আলমারিতে রাখা রোগীদের দেওয়ার জন্য যে বাসি খাবার রাখা হয়েছিলো, তাতে আরশোলা এবং ছত্রাকও মিলেছিলো৷

সরকারি হাসপাতালের এতসব অসুখ একেবারেই সারছে না৷ বিশেষ করে হাজিরার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বেশি মাত্রায়৷ সঠিক চিকিৎসা না মিলুক, কিন্ত্ত চিকিৎসক তো মিলুক, এ আবেদন রয়েছে ভুক্তভোগী রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের৷ সেই অসুখ সারাতে এবার প্রাথমিকভাবে জেলার বড় হাসপাতালে বায়োমেট্রিক মেশিন বসিয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সবার হাজিরা সুনিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পরবর্তী ধাপে জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হবে৷ এই বায়োমেট্রিক মেশিন বসাবার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের কাছে আবেদনও জানানো হয়৷ জেলা পরিষদ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন বসাবার জন্য সমস্ত ধরনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে৷ পরবর্তী পর্যায়ে জেলার অন্যান্য হাসপাতাল ও সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরা সুনিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক মেশিন বসানোর বিষয়টিও বিবেচ্য হবে বলে জানা যাচ্ছে৷