সিবিআই-এর নজরদারিতে এবার সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা

Written by SNS March 17, 2024 7:41 pm

কলকাতা, ১৭ মার্চ: সিবিআই-এর আতস কাঁচের তলায় এবার সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানার ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্তদের না ধরে গ্রামের নিরাপরাধ মানুষকে গারদে ভরে বলে অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগে আগেই সরব হয়েছেন একাধিক গ্রামবাসী। এবার সেই অভিযোগকে খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। আতস কাঁচের তলায় ন্যাজাট ও সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, ৫ জানুয়ারির ঘটনায় পুলিশ সাত জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে ওই সাত জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ? তার বিস্তারিত তথ্য চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কারণ, সেদিন ধৃত সাত জনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি সিবিআই। কার কথায় ওই সাতজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ? এর পিছনে বড় কোনও রহস্যের সন্ধানে নেমেছে সিবিআই। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে এর পিছনে শাসকদলের কোনও কৌশলের গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেজন্য বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।

কারণ, ইতিমধ্যে গ্রামবাসীরা এবিষয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকের অভিযোগ, এই ঘটনায় যারা জড়িত নন, এরকম ভদ্র ও নিরীহ ছেলেদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। অথচ ঘটনার সময় যারা মুখ্য ভূমিকায় ছিল, পুলিশ তাদের অনেকের গায়ে একটি আঁচড়ও দেয়নি। সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, কোনও রাজনৈতিক নেতার কথায় ওই সাতজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দুই থানার তদন্তকারী আধিকারিদের ডাকতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে গতকাল শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর সহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। আদালত ধৃত ওই তিনজনকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৩ মার্চ সন্দেশখালি কাণ্ডে যুক্ত ১৫ জনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই৷ যাঁদের মধ্যে ছিলেন শাহজাহানের ভাই আলমগির, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মাফুজা মোল্লা, আবু হোসেন মোল্লা ওরফে দুরন্ত মোল্লা সহ একাধিক জন৷ এদের অধিকাংশই বাডি়তে ছিলেন না সেই সময়৷