তৃণমূলই তৃণমূলকে শূন্য করার অভিযানে নেমেছে, বিস্ফোরক মন্তব্য সেলিমের

মহম্মদ সেলিম (Photo: IANS)

তৃণমূলনেত্রী বিরোধী শূন্য রাজনীতির পথে হেঁটেছিলেন। এখন তৃণমূলই তৃণমূলকে শূন্য করার অভিযানে নেমেছে, বগটুই গ্রামে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা নিয়ে সরাসরি তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

তিনি বলেন, রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম জিতেছে। বগটুই গ্রামের তৃণমূলকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভোট লুঠ করতে। তার পরও সেখানে সিপিএম জিতেছে। তারই প্রতিশোধ নিতেই বগটুই গ্রামে হামলা হয়েছে।


সোমবার সন্ধে বেলা রামপুরহাটে খুন হয়েছিলেন বড়শোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ।

তারপর গভীর রাতে ওই গ্রামে লাইন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভাদু শেখের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। দেহ লোপাট হয়েছে রাতের অন্ধকার থাকতেই। এ ব্যাপারে সেলিম বলেন, ট্যাক্সির মিটারের মতো মৃত্যু বাড়ছে। প্রথমে শোনা গেল তিন জন।

তারপর জানা গেল, তিন নয়, সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। দমকল বলছে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন মৃত্যু সংখ্যা ১২-১৫ পর্যন্ত হতে পারে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায়,

‘কয়লা-বালির ভাগবাঁটোয়ারার কারণেই ভাদু শেখ খুন হয়েছেন। তারপর তৃণমূলের লোকজনই তৃণমূলের লোকজনকে পুড়িয়ে মারল। আর যাঁরা মাথায় অক্সিজেন কম যায়, সেই অনুব্রত মণ্ডল বলছেন টিভি ফেটে আগুন লেগেছে।’

তিনি আরও বলেন, ভোটের আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা হয়েছিলে গ্রামে। পুলিশের উচিত বগটুই গ্রামে না গিয়ে বনহাট গ্রামে ঘিরে ফেলুক। তল্লাশি চালাক। সেলিমের অভিযোগ, বাংলায় প্রতিদিন খুন হচ্ছে। অপরাধীদের নিরাপদ জায়গা হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ।