টালা ব্রিজের ভগ্নস্বাস্থ্যে যানচলাচল বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

পুজোর সময় সম্ভবত টালা ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল পুরােপুরি বন্ধই হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপাের্ট নিয়ে জরুরি বৈঠকে হয় নবান্নে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষক সংস্থা রাইটস-এর প্রতিনিধি, শিপ বিল্ডিং করপােরেশন, পুর ও নগরােন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বর্তমান মুখ্য সচিব মলয়কুমার দে, স্বরাষ্ট্রসচিব। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা প্রমুখ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে টালা ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানচলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বৃহস্পতিবারই। টালা ব্রিজ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে যান চলাচল বন্ধ করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজ শুক্রবার, দুপুর দু’টোয় মুখমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে। তখন বিকল্প পথ দিয়ে টালা ব্রিজগামী যানবাহনকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

টালা ব্রিজে যাতে কোনওভাবে ভারী পণ্যপরিবাহী যান উঠতে না পারে সেজন্য বসানাে হচ্ছে হাইটবার। পণ্যবাহী যানকে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু ভারী যানই নয়, বাস এবং গাড়ি চলাচলও বন্ধ করার প্রয়ােজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প রুটের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, টালা ব্রিজ বন্ধ করা হলে একাধিক বাসরুটেও পরিবর্তন করতে হবে। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণমুখী বাস ও গাড়িগুলিকে চিড়িয়ামােড় থেকে দমদম রােড, নাগেরবাজার, যশাের রােড ধরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অন্য একটি রুট হিসেবে যাত্রীবাহী যান ও গাড়িগুলিকে দমদম রােড, সেভেন ট্যাঙ্কস রােড, নর্দান অ্যাভিনিউ, ইন্দ্র বিশ্বাস রােড দিয়ে টালাপার্ক সংলগ্ন বেলগাছিয়া বা পাইকপাড়া হয়ে শ্যামবাজারমুখী করা হতে পারে। আর জি কর রােড থেকে ক্যানেল ইস্ট বা ক্যানেল ওয়েস্ট রাস্তাও কাজে লাগানাে হতে পারে।

অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে রাজা মণীন্দ্র রােড হয়ে চিৎপুর লক গেট রােড বা কাশীপুর রােড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। চিৎপুর রােড থেকে খগেন চ্যাটার্জি রােড চিৎপুর লক গেট ফ্লাইওভার দিয়ে বাস ও গাড়িগুলি বি টি রােডগামী করা হতে পারে। কিংবা কাশীপুর, গােপাল লাল ঠাকুর রােড দিয়ে বি টি রােডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। মােট কথা পুজোর সময় টালা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাত্রী চলাচলের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। এজন্য বিকল্প পথ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলােচনা করেছে শীর্ষকর্তারা।