১৯ তারিখের লড়াই তৃণমূলের নয়, আপনাদেরও: অভিষেক

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo:SNS)

গোয়া থেকে ফিরে এই প্রথম কলকাতা পৌর নিগমের প্রচারে গেলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই পথযাত্রাতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্মী থেকে শুরু করে তাকে দেখার জন্য ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ।

পথযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে তিনি বলেন, গোয়ায় হয় আমরাই সরকার গড়ব, যদি হেরে যাই, আমরাই প্রধান প্রতিপক্ষ হবো। বিজেপি’র সিঙ্গুরে চলা কৃষক মোর্চার বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, বিজেপির মুখে কৃষকদের কথা মানায় না।

এই সুসজ্জিত পথযাত্রার শুরু হয় বড়বাজারের রাজাকাটরায় শেষ হয় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে বউবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়। এই রোড শোতে পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ নজরদারির জন্য ড্রোনের ব্যবস্থাও করা হয়।


এদিন অভিষেক ছাড়াও এই র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী তাপস রায়, শশী পাঁজা, ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক পরেশ পাল, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার শ্রেয়া পান্ডে, প্রার্থী আনন্দ কিশোর রাওয়াত, পূজা পাঁজা, গৌতম হালদার, মীনাক্ষী গুপ্ত সহ আরও ৬০ জন শাসক দলের প্রার্থী।

অভিষেক আরও বলেন, যেখানে তিনি রোড শো করেছেন তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গা বিরোধীদের দখলে আছে। তাই সবজায়গাতেই মানুষের কাছে সাধারণ বার্তা পৌঁছে দিতেই এই পথ যাত্রার আয়োজন করেছে উত্তর কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের এই র্যালি থেকে সরকার গঠন করার ডাক দেন তিনি।

তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি গড়ে তুলতেই আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন, যাতে আগামীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে আমরা সক্ষম হই।

জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী অভিষেক বলেন, উত্তর কলকাতার ৬০ টি ওয়ার্ডেই জিতবে তৃণমূল। বিরোধীদের এখানে জায়গা নেই।

উত্তর কলকাতার মা-বোনেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন। এই নির্বাচনে তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন হবেনা। ১৯ তারিখের লড়াই তৃণমূলের নয়, আপনাদেরও।

বিধানসভার মত কলকাতা পৌর নিগমের ১৪৪ ওয়ার্ডেই জেনে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। আপনারা যখন ভোট দেবেন, জেনে রাখবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভোট দিচ্ছেন।

আজকের রোড শো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় নির্বাচন। হয় তৃণমূল জিতবে, না হয় প্রধান প্রতিপক্ষ। তৃণমূল বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তৃণমূলের বিকল্প নেই।