অধরা পানাগড় কাণ্ডের অভিযুক্তরা

ফাইল চিত্র

তিন দিন পরেও অধরা পানাগড় কাণ্ডের অভিযুক্তরা। বুধবার খবর ছড়িয়েছিল, মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এই খবর নিশ্চিত করেনি। বাবলুকে আটক করা হয়েছে কি না সেই বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও কিছু বলতে চাননি তাঁরা। এর জেরে পানাগড়ের দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

রবিবার মাঝরাতে দুর্গাপুরের বুদবুদের একটি পেট্রল পাম্পে তেল ভরার জন্য দাঁড়িয়েছিল নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি। অভিযোগ, সেই সময় একটি সাদা গাড়িতে থাকা কয়েকজন মদ্যপ যুবক সুতন্দ্রাকে দেখে কটূক্তি করতে থাকে। এরপরই গাড়ি নিয়ে তারা সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ধাওয়া করে। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সুতন্দ্রার গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

জানা গিয়েছে, সুতন্দ্রারা চন্দননগর থেকে বিহারের গয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পানাগড়ের কাঁকসায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে সুতন্দ্রা ছাড়াও ছিলেন আরও ৪ জন। প্রথম থেকেই সুতন্দ্রার সহকর্মী ও গাড়ির চালক ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলছিলেন। পাশাপাশি সুতন্দ্রার মাও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। তবে পুলিশ জানায়, কোনও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ জমা পড়েনি। রেষারেষির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের এই দাবির পরই সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।


পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের গাড়ির স্টিয়ারিং বাবলুর হাতেই ছিল। ধাওয়া করার অভিযোগ ঘিরে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রথমে সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল অভিযুক্তদের গাড়িটি। তারপর সাদা গাড়িটিকে ধাওয়া করে নৃত্যশিল্পীর গাড়ি।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়