আজ থেকে খুলছে মিষ্টির দোকান

দেশজুড়ে লকডাউন। (Photo: AFP)

লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ঝাপ বন্ধ ছিল মিষ্টির দোকানের। ফলে মার খাচ্ছিল দুধের ব্যবসা। কারণ রাজ্যে উৎপাদিত গরুর দুধের সিংহভাগই ব্যবহার করা হত মিষ্টির দোকানগুলিতে। রাজ্যজুড়ে মিষ্টির দোকানগুলি এমনকী চায়ের দোকানও বন্ধ থাকায় মার খাচ্ছিল দুধের ব্যবসা। এই অবস্থায় গরুর দুধ রাস্তার নর্দমায় ঢেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এই সমস্যা নিয়ে শহরের দুগ্ধ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দুধ নষ্ট বন্ধ করতেই লকডাউনের মধ্যে মিষ্টির দোকান খোলার জন্য নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা সকাল বারোটা থেকে বিকেল চারটে- অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র চার ঘন্টার জন্য খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান। তবে কেবলমাত্র প্যাকেটে দেওয়া যাবে এমন মিষ্টিই ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন। তবে এজন্য যাতে বাচ্চাদের দুধ সরবরাহ ব্যাহত না হয়, সেই ব্যাপারটিও প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউনের সময়সীমা বজায় থাকছে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যে বাঙালির পয়লা বৈশাখ পড়ে যাচ্ছে। সেই উৎসব যাতে একেবারে মাটি না হয়ে যায়, সেই কারণেই রাজ্য সরকার মিষ্টির দোকান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিল। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১৩ এপ্রিল আলোচনার পরে। একই সঙ্গে পাড়ায় পাড়ায় মুদির দোকান খোলা রাখার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


এই করোনা আবহে সকালে গরম জলে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদিন হালকা খাওয়ারের সঙ্গে টক দই খেতে বলেন। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই চিরাচরিত ধারণা অনুযায়ী কলা খেলে শরীরে জীবাণু নাশ হয়। তাই প্রতিদিন কলা খাওয়া জরুরি। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন রাখার জন্য, প্রত্যহ ডিম যেন থাকে এমন নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সান্ধ্য খাবারে থাকা চাই ভারী খাবারও।