স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)–এর প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি না তা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)–কে বিবেচনা করতে বলেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এবিষয়ে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে এসআইআর–এর প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ রয়েছে এমন নথিকেই বিবেচনা করা হবে। সেই তালিকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই।
এসআইআর–এর নথি হিসেবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে বিবেচনা করা যায় কি না তা দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সিইও–কে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাবের কথা বুধবার সব রাজ্যের সিইওদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে উত্থাপন করেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের সিইও–র কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্বাস্থ্যসাথী কি নাগরিকত্বের প্রমাণ? সিইও জানান, স্বাস্থ্যসাথী নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তবে তা রাজ্যবাসীকে দেওয়া হয়। কমিশন তখন জানায়, নাগরিকত্বের প্রমাণ হবে এমন নথিই শুধুমাত্র এসআইআর–এর প্রামাণ্য নথি হিসেবে গণ্য করা হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, এসআইআর–এর জন্য প্রামাণ্য নথি হিসেবে নির্ধারিত ১১টি (সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র বিহারের জন্য দ্বাদশ নথি হিসেবে আধার কার্ড বিবেচিত হবে) নথির বাইরে আর কোনও নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি না তা সব রাজ্যের সিইও–দের কাছে বৈঠকে জানতে চেয়েছিল কমিশন। সেই সময়ই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাবটি পেশ করেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিহারে এসআইআর–এর জন্য দ্বাদশ প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ড ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনও রাজ্যের জন্য আপাতত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে না।
Advertisement
যদিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আধার কার্ড কখনওই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য এর ব্যবহার হতে পারে। পুজোর পরে অর্থাৎ অক্টোবর মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশ জুড়ে এসআইআর শুরুর চিন্তাভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এবিষয়ে কোনও বিবৃতি এখনও পর্যন্ত জারি করা হয়নি।
Advertisement



