বিধানসভায় পার্থের পাশেই নতুন আসন পেতে পারেন নিলম্বিত বিধায়ক হুমায়ুন

রাজ্য বিধানসভায় ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের আসন বদল হতে পারে। তাঁকে আর এক নিলম্বিত বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসতে হতে পারে।  বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে সম্প্রতি দল থেকে হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ৬ বছরের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগেও একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শাস্তিও পেয়েছিলেন। এবার সাসপেন্ড হওয়ার পর বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু পরে তিনি জানান, ভোটারদের অনুরোধ রেখেই তিনি বিধায়কপদ ছাড়ছেন না। এর পরেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে তাঁর আসন বদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৪ সালে রেজিনগরের কংগ্রেস বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন হুমায়ুন। সেই সময় রাজ্য মন্ত্রীসভায় প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে হুমায়ুনকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। ২০১৬ সালে রেজিনগরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি। তারপর ফের কংগ্রেসে ফিরে যান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেন হুমায়ুন। পরে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। দল ভরতপুর থেকে প্রার্থী করে তাঁকে। সেই আসনে জয়লাভ করেন তিনি। ২০২১ সালে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় এলে হুমায়ুনকে সম্মানজনক আসন দিয়েছিল তৃণমূল পরিষদীয় দল। তিনি বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চের পাশের আসনগুলির মধ্যে একটিতে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন।
তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা বেহালা পশ্চিমের পাঁচ বারের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হন। কয়েকদিন আগেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে তিনিও অধিবেশনে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে তিনি আগের আসনে আর বসতে পারবেন না। তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি পরিষদীয় দলের পাশের কোনও আসনে পার্থকে বসতে দেওয়া হবে। তার পাশের কোনও আসন বরাদ্দ হতে পারে হুমায়ুনের জন্য। তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দলের সাসপেন্ডেড বিধায়কদের অধিবেশনে বসার জায়গা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।