• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

দুর্নীতির তদন্তে ইডির সাফল্যের হার নিয়ে পার্থের মামলায় প্রশ্ন তুললো সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন একজন অভিযুক্তকে দীর্ঘ সময় ধরে হেফাজতে রাখার বিষয় নিয়ে।

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: এএনআই।

জামিন পেলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া, বিচারপতি সূর্য কান্তের এজলাসে পার্থ চট্টোপাধ‍্যায়ের প্রাথমিকে নিয়োগে জামিন মামলার শুনানি ছিল।

এদিন সওয়াল জবাবে মুকুল রোহতগি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ‍্যায় ২৮ মাস জেলে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এবং সেই অভিযোগের যা সর্বোচ্চ সাজা, তার এক তৃতীয়াংশ জেলে কাটিয়েছেন উনি। এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। কবে মামলা শুরু হবে? তাও ঠিক নেই। বাকি প্রায় সব অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যে অর্পিতা তাঁর নাম করেছিলেন, তিনি দুদিন আগে ট্রায়াল কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে আটকে রাখা হচ্ছে। তাঁর জামিন পাওয়ার অধিকার আছে।’

আগের মতোই এবারও ইডির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দেন, ‘উনি প্রভাবশালী। জেল থেকে বেরোলে সাক্ষ‍্যদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘সিবিআইয়ের থেকে রিপোর্ট নিয়ে আমরা শুনানি করব’।

যদিও এদিন আদালতে পার্থর গ্রেফতারির সময় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। মামলা রুজু করার ২৮ মাস পরে সিবিআইয়ের “শোন অ্যারেস্ট” দেখানোর বিষয়টি আদালতে তোলেন পার্থর আইনজীবী। বিচারপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেটা আপনারা বলতে পারেন না। সিবিআই প্রথমেই গ্রেফতার করলে আপনারা বলতেন, আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রেপ্তার করেছে, পরে গ্রেপ্তার করলে আপনারা বলবেন ইচ্ছাকৃত।’ ইডির ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন একজন অভিযুক্তকে দীর্ঘ সময় ধরে হেফাজতে রাখার বিষয় নিয়ে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় ইডি-র দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের সাজার হার কম বলে উল্লেখ করেন বিচারপতির দুই বেঞ্চ।এদিন শুনানি পর্বে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষায় আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন। আর তারপর থেকে কেটে যায় প্রায় আড়াই বছর’। কিন্তু এখনও মামলার বিচার প্রক্রিয়া তেমন এগোয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান বয়স ৭৩। যাঁর বাড়ি থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধার হয়, সেই অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় সহ এই মামলায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গেছেন। অথচ তাঁর হেফাজত থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি। কিন্তু তিনি এখনও জেলে বন্দি।’ সুপ্রিম কোর্টে জানান পার্থর আইনজীবী। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।