সাংবাদিকের আইনি রক্ষাকবচ বাড়িয়ে ফের রাজ্যের রিপোর্ট তলব

Written by Subhash Pal March 16, 2024 2:42 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি– চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী এলাকার এক সংবাদ বিষয়ক মামলা৷ মামলাকারী সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিনের আইনজীবী বৈদূর্য্য ঘোষাল বলেন, ‘প্রকাশিত খবর নিয়ে এফআইআর খারিজের মামলায় রাজ্যের কোনও রিপোর্ট এখনও অবধি জমা পড়েনি৷ আগামী মে মাস অবধি সাংবাদিককে আইনী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে”৷ পরবর্তী শুনানি ২২ মে মাসে রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে এই মামলা উঠলেও রাজ্য কোন রিপোর্ট দেয়নি৷

কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার পরিপেক্ষিতে রাজ্যের কাছে দু-দুবার রিপোর্ট চাইলেও কেন জমা দিচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন৷ গতবুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে পূর্বস্থলী থানা এলাকায় এক খবর সংক্রান্ত মামলা৷ এক ওয়েব পোর্টালের সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে এই মামলাটি করেছেন৷ কলকাতা হাইকোর্ট মামলা খারিজের আবেদন গ্রহণ করেছে৷ রাজ্যের কাছে ওই মামলার যাবতীয় তথ্য কলকাতা হাইকোর্ট গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট আকারে তলব করেছিল তৎকালীন বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাস৷ সেইসাথে ওই ওয়েব পোর্টাল সম্পাদক কে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে’৷

মামলাকারী দাখিল মামলায় প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন, “প্রকাশিত খবর সত্য না মিথ্যা? সেটি নির্ণয় করবে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া৷ এখানে পুলিশ কি করে খবর সংক্রান্ত মামলা রুজু করলো? হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যে জনরোষ তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সপক্ষে সাইবার রিপোর্ট এবং জনরোষের বিস্তারিত তথ্য কোথায়? তাছাড়া কোন খবর মিথ্যা বলে অভিযোগকারীর মনে হলে তা সংশ্লিষ্ট সম্পাদক কে চিঠি/ ইমেল মারফত জানাতে হয়৷ এরপর আইনী নোটিশ পাঠাতে হয়৷ কোথায় খবরটি তথ্য বিকৃত করা হয়েছে? তাই জানানো হয়নি”? উল্লেখ্য, এক এনজিও সংস্থার দুর্নীতি বিষয়ক খবর প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন সাংবাদিক শ্যামল রায় (বর্তমানে মৃত)৷

খবর প্রকাশে ওই ওয়েব পোর্টালের সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন কে অভিযুক্ত করা হয়৷ নিম্ন আদালতের কোন সমন না দিয়েই সরাসরি ‘ওয়ারেন্ট’ ইসু্য করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে৷ মামলাকারী পূর্বস্থলী থানার মামলা গ্রহণে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার, সংশ্লিষ্ট থানার আইসি এবং জেলার পুলিশ সুপারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন৷ তার উত্তর অবশ্য দেয়নি পুলিশ কর্তৃপক্ষ৷ ভারতীয় গনতন্ত্রে চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে সংবাদমাধ্যম পড়ে৷

আর এই সংবাদমাধ্যম মূলত তিনপ্রকার হলেও চলতি সময়ে পোর্টাল নিউজ সংবাদমাধ্যমের আরেকটি রুপে এসেছে৷ গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের সাংবাদিকদের পেনশন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে যে – সাংবাদিক হিসাবে ওয়েব পোর্টাল সাংবাদিকরাও পড়ছে৷ অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ‘প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’ রয়েছে সংবাদ সম্পকিত অভিযোগগুলি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে৷ সাধারণত কোন সংবাদমাধ্যমে কোন খবর নিয়ে কারও অসন্তোষ, অভিযোগ থাকলে সেই সংবাদমাধ্যমকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে হয় সংবাদটি সংশোধন করার জন্য৷ এতে কোন কিছু না হলে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হয় নিদিস্ট সময়সীমা উল্লেখ করে৷ কেননা প্রকাশিত কোন খবর নিয়ে পুলিশ কোন মামলা সরাসরি গ্রহণ করতে পারেনা বলে প্রবীণ সাংবাদিকরা জানিয়েছেন৷