অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাশ্রয় ২: বজবজে সফল সমাপ্তি, বিষ্ণুপুরে শুরু নতুন পর্ব

এই বার্তাকে সামনে রেখে বজবজে সফলভাবে সম্পন্ন হল ‘সেবাশ্রয় ২’। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই স্বাস্থ্য পরিষেবা শিবির আরও একবার দেখিয়ে দিল, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা কেমন হলে তা মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বজবজ পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২২ ডিসেম্বর থেকে বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায় শুরু হয়েছে সেবাশ্রয় ২-এর নতুন অধ্যায়, যা চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বজবজে সেবাশ্রয় ২-এর শেষ দিনে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট ৩,৭২৭টি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বহু মানুষের রোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে ৩,৪৯০ জনকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে, যাতে চিকিৎসার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। ৯,১০৮ জন রোগী পেয়েছেন সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা পরিষেবা। গুরুতর অসুস্থ ৩৫ জন রোগীকে সময়মতো বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “সেবা কোনও প্রদর্শনীর বিষয় নয়, এটা শাসনের নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের প্রয়োজন যখন চোখের সামনে থাকে, তখন দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ধারাবাহিকতা, আন্তরিকতা ও সংযমের সঙ্গেই জনজীবনে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়।” তাঁর কথায়, সেবাশ্রয় শুধুই একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।
বজবজে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, দ্রুত চিকিৎসা ও সম্মানজনক পরিষেবা দেওয়ার যে দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে, তা প্রশাসনিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন পরে এত সংগঠিত ও বিস্তৃত স্বাস্থ্য পরিষেবা তাঁদের এলাকায় এসেছে।
এদিকে বজবজ পর্ব শেষ হতেই সেবাশ্রয় ২-এর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায়। ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে এই স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হবে। লক্ষ্য একটাই—দূরত্ব, খরচ বা অবহেলার কারণে যেন কোনও মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেবাশ্রয় ২ ক্রমশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনস্বাস্থ্যের একটি নির্ভরযোগ্য মডেল হিসেবে উঠে আসছে।