সমাজমাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের ফি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সকালে শুভেন্দু সমাজমাধ্যম এক্স-এ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ তুলে পোস্ট করেন। এদিন সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষা অবৈতনিক, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনও না কোনোভাবে ফন্দি এঁটে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ঠিক পয়সা উসুল করার ধান্দা করবেই করবে।’ এছাড়াও তিনি লিখেছেন, ছাত্রছাত্রীদের থেকে এই টাকা নেওয়া একবারেই অনৈতিক ও বেআইনি। দ্রুত তা বন্ধ করা উচিত। আর যাদের থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছে ,তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্টের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুভেন্দুর পাল্টা পোস্ট করে তাঁর ফি নিয়ে এই বার্তাকে অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতি সেমেস্টার পিছু ফি বেঁধে দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্কুলগুলি সেমেস্টার পিছু ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সেমেস্টার ভিত্তিক করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই স্কুলগুলিতে সেমেস্টার পরীক্ষার জন্য মাত্রারিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ ওঠে। তারপরেই গত শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দিষ্ট ফি বেঁধে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে শুভেন্দুর করা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাত্য বসু পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার করা পোস্ট ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা। এর জন্য তিনি সমাজমাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফি সংক্রান্ত দুটি নোটিসই পোস্ট করেছেন। এরপর তাঁর বক্তব্য, এই নোটিস দেখে সহজেই তুলনা করে বোঝা যাবে কে বেশি টাকা নিচ্ছে।
এদিন সমাজমাধ্যমে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘বিরোধী দলনেতা তাঁর চিরাচরিত ঢঙে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার ফি নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারে অধীন সিবিএসই বোর্ডের ২০২৫-এর পরীক্ষার ফি-র নোটিসটা দিলাম। রাজ্য সরকার বিনামূল্যেই সকলের পড়াশোনা চালায়। এর সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করলাম সবার জ্ঞাতার্থে যাতে সত্য মিথ্যা সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়। বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বন্ধ হোক।’