হাতি তাড়াতে গিয়ে হুলার আগুনে আহত এক পড়ুয়া, বনদপ্তরের উদাসীনতার কারনে বনদপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

গত চার পাঁচ দিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গােয়ালতােড় বনাঞ্চলের শাখাভাঙ্গা, ধরমপুর, কদমডিহা দেবগ্রাম প্রভৃতি গ্রামে প্রায় ৪০-৫০টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতি তাড়ানাের কোনাে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এর ফলে আলু সহ মাঠের শীতকালীন বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি গ্রামে প্রবেশ করে বাড়ির ভাঙ্গচুর করছে। বনদপ্তরের এই উদাসীনতার কারনে গ্রামবাসীরা নিজেরাই হাতি তাড়ানাের উদ্যোগ নেই। আর সেই হাতি তাড়াতে গিয়েই শুক্রবার রাতে হুলার আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক স্কুল পড়ুয়া। আহত ওই ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা তাে দুরের কথা তার খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি বনদপ্তরের আধিকারিকরা।

তাদের এই উদাসীনতার কারনেই শনিবার বনদপ্তরের গােয়ালতােড় কার্যালয়ে। এসে বিক্ষোভ দেখালাে স্থানীয়রা। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে গত প্রায় ৪-৫ দিন ধরে ধরমপুরের জঙ্গলে হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হাতি তাড়ানাের জন্য প্রমপুর, শাখাভাঙ্গা, দেবগ্রামের বাসিন্দারা শনিবার রাত্রীতে একত্রিত হয়ে হাতি তাড়ানাের কাজ শুরু করে।


সেই সময় একটি হাতি হঠাৎ করেই তুহ্নি মাহাত নামের এক একাদশ শ্রেনীর পড়ার দিকে ছুটে যায়। তাকে বাঁচাতে একজন হুলা ফিকে দেয় হাতির দিকে। কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হয়ে সেই হুলাটি তুহিনের গায়ে লাগে। জলন্ত তুলা গায়ে লেগেই গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই ব্যাপারটি গােয়ালতােড় রেঞ্জ অফিসে জানানাে হলেও কোনো রকম ব্যবস্তা নেইনি তারা। তাদের সেই উদাসীনতার কারনে শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

বিক্ষোভকারীদের দাবী হাতি তাড়ানাের পাশাপাশি, ফসলের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহত তুহিনের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে।