রবীন্দ্র সরোবরে ছাত্রমৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন

রবীন্দ্র সরোবরে কালবৈশাখীর মাঝে রোয়িং করতে গিয়ে দুই কিশোরের প্রাণহানির ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বোট উলটে দুই ছাত্র তলিয়ে যেতেই সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী টিম ও রোয়িং কোচরা কি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন?

নাকি, উদ্ধারকারী বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও ডুবুরি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল?

শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ আকাশ কালো করে মেঘ ঘনিয়ে এলেও কেন জলে রোয়িং করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল ছাত্রদের? যদিও ক্লাব কর্তাদের দাবি, আচমকা কালবৈশাখী আছড়ে পড়েছে।


লেক ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক দেবব্রত দত্ত দাবি করেন, রোয়িংয়ের ইতিহাসে রবীন্দ্র সরোবরে এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। রোয়িং যারা করছিল, সবাই সাঁতার জানত।

সম্ভবত, জলে পড়ে যেতেই আতঙ্কে এই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।

খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য।

এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন মেয়র। পরিবেশ আদালতের পেট্রল বোট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

মেয়র বলেন, একটি ছেলের জীবন বেশি মুল্যবান না সরোবরের মাছের প্রাণ বেশি দামি? যাঁরা মাছের কথা ভেবে উদ্ধারকারী পেট্রলচালিত স্পিড বোট বন্ধ করলেন তাঁরা এখন কী বলবেন?

দুর্ঘটনার সময় মাত্র একটি উদ্ধারকারী বোট রাখলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? রবি ও সোমবার ক্লাব বন্ধ রেখেছে লেক ক্লাব কর্তৃপক্ষ।