রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: মমতা, অবিলম্বে উপনির্বাচনের দিন ঘােষণার আর্জি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিঃএসএনএস)

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনাের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় চারমাস। কিন্তু এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘােষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। সােমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের উপ নির্বাচনের দিন ঘােষণা করা উচিত।ভােট দেওয়াটা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমানে রাজ্যে করােনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মানুষ নির্বিঘ্নে ভােট দিতে পারবে।

তিনি অভিযােগ করেন, এখনও পর্যন্ত উপনির্বাচন। নিয়ে কমিশন কোনও তথ্যই দেয়নি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন করানাের আর্জি নিয়ে একাধিকবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু কমিশন বিষয়টি নিয়ে একেবারে চুপচাপ রয়েছে। প্রসঙ্গত রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

এবার সেই তথ্য তুলে ধরে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমিশনকে চিঠি দিতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যের মতে এখন করােনা পরিস্থিতি অনেকটাই সন্তোষজনক। যে আসনগুলিতে নির্বাচন বা উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলির আওতাভুক্ত এলাকায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শুন্য কিংবা নগণ্য। তাই এখনই মানুষ নিরাপদে ভােট দিতে পারবে।


প্রসঙ্গত এরাজ্যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দুটি কেন্দ্রে ভােট রয়েছে। নদিয়ার শান্তিপুর এবং কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন। ভবানীপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন।

ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। উত্তর চব্বিশ পরগণার খড়দহের এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার গােসাবার জয়ী প্রার্থী যথাক্রমে কাজল সিনহা এবং জয়ন্ত নস্করের মৃত্যু হয়েছে।

ফলে মােট এই পাঁচটি কেন্দ্রে উনির্বাচন হওয়ার কথা এর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল করিম এবং জঙ্গিপুরে আরএসপি’র প্রদীপ নন্দীর ভােটের আগেই মৃত্যু হওয়ায় সেখানেও নির্বাচন বকেয়া রয়েছে।

ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন বা উপনির্বাচন করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পাঁচটি রাজনৈতিক দলকে এই চিঠি পাঠানাে হয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে উত্তর জানাতে বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে তৃণমূল। তবে অন্য দলগুলি কী তথ্য দেয়, সব বিশ্লেষণ করেই উপনির্বাচনের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।